ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
” তৃণমূল কংগ্রেসে কোনো জ্যোতিষী নেই ।তাই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কয়টি আসন পাবে? তা বলা সম্ভব নয় । তবে বাম-কংগ্রেস ও বিজেপিতে জ্যোতিষীরা বসে আছেন। তারা বলে দিচ্ছেন কয়টি আসন পাবেন নির্বাচনে।” বক্তা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পিযুস কান্তি বিশ্বাস। শনিবার প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের বক্তব্য, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে শহর থেকে সমতল, গ্রাম থেকে পাহাড় সর্বত্রই প্রচুর টাকা ছড়ানো হয়েছে। টাকা দিয়ে প্রভাবিত করা হয়েছে ভোটারদের । এর আগে ত্রিপুরার কোন নির্বাচনে এভাবে টাকা ছাড়িয়ে ভোট আদায় করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের কথা, বাম জামানার ২৫ বছরে রাজ্যজুড়ে চলেছিল সন্ত্রাস। বিজেপির জামানাতেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি ।অব্যাহত ছিল ভোট সন্ত্রাস ।ভোটের আগেও নানান জায়গায় সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। এবং ভোটের পরেও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে চলছে। তবে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সতর্ক থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসের ঘটনা রোধ করা গিয়েছে। পীযূষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আগামী দোসরা মার্চ নির্বাচনের গণনা ।এই গণনা কেন্দ্র করেও বিভিন্ন দিকে হামলা হজ্জতি চলছে। ঝরছে রক্ত । এটা অবশ্যই কাম্য নয়। বিজেপি সরকারের জামানায় রাজ্যে গনতন্ত্র বিপন্ন। তবে ভোটের দিন মানুষ শাসক শক্তির সমস্ত রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে ভোট দিয়েছে। মানুষ শাসক দলের অনৈতিক কার্যকলাপের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। তার জন্য রাজ্যের প্রতিবাদী মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস কয়টি আসন পাবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযুষ বিশ্বাসের উত্তর যথেষ্ট হাস্যকর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনীতিকদের বক্তব্য, কেননা কোন ছাত্র ভালো পরীক্ষা দিলে সে নির্দ্বিধায় বলতে পারে কত মার্কস পাবে। আর যে ছাত্রের পরীক্ষা ভালো হয় না তার পক্ষে আগাম মার্কস বলা সম্ভব নয়।এই সহজ সত্য সবাই বুঝতে পারে।অর্থাৎ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের রেজাল্ট যে ভালো হচ্ছে না, তা প্রমাণিত হয় পীযূষ কান্তি বিশ্বাসের বক্তব্য থেকেই। রাজনীতিকদের কথায়, গ্রাউন্ড জিরো রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেস মোট ২৮টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে।প্রতিটি কেন্দ্রেই প্রার্থীদের জামানত জব্দ হবে।এই কারণেই পীযূষ কান্তি বিশ্বাস মুখ লুকানোর জন্য বলতে বাধ্য হয়েছেন তার দলে নেই কোনো “জ্যোতিষী”।
