ডেস্ক রিপোর্টার,২রা অক্টোবর।। অবশেষে সমস্ত জল্পনা-কল্পনার আবাসন ঘটিয়ে কলকাতার তৃণমূল ভবনে হাজির হলেন রাজ্য বিজেপি’র বিদ্রোহী বিধায়ক আশীষ দাস। শনিবার তিনি যান কলকাতার তৃণমূল ভবনে।যদিও বিধায়ক আশীষ দাস বলেছেন,তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য তৃণমূল ভবনে যান নি।তিনি গিয়েছেন তৃণমূল ভবন দেখতে।কিন্তু বিধায়ক আশীষ দাসের এই বক্তব্য ধূপে টিকবে না রাজনৈতিক মহলে।কারণ, বিজেপি’র বিধায়ক হয়ে তৃণমূল ভবন দেখতে যাবেন তা রাজনৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ বেমানান। আশীষ দাসের দল বিজেপিও তা কখনো মেনে নেবে না। কলকাতার তৃণমূল ভবনে আশীষ দাসের এই যাত্রা প্রমান করে দিলো,খুব শীঘ্রই তিনি যোগ দিতে চলছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।অসমর্থিত সূত্রের খবর, আগামী ৬অক্টোবর আশীষ দাস যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
রবিবার বিজেপি’র আরেক বিদ্রোহী বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনও কলকাতায় যাবেন এবং সাক্ষাত করবেন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে।এমন খবর ভাসছে ত্রিপুরা-বাংলার রাজনৈতিক মহলে।যদিও সুদীপ রায় বর্মন বহুবার বলেছেন তিনি বিজেপি ছাড়বেন না।তার অনুগামীদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখার বার্তা দিয়েছেন।বিজেপির বর্তমান পরিচালনা কমিটির উপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
সম্প্রতি বিজেপি’র বিধায়ক আশীষ দাস সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকার ও বিজেপিকে আক্রমণ করেছিলেন। রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনা নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি।ঘুরিয়ে বললে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে আক্রমণ করেছিলেন।আশীষ দাসের এই সাংবাদিক সম্মেলনের পর স্পস্ট হয়ে গিয়েছিলো জল কোন দিকে গড়াচ্ছে।তিনি যে বিজেপি শিবির পাল্টে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন তা এক প্রকার স্পস্ট হয়ে গিয়েছিলো।বাকিটা ছিল সময়ের অপেক্ষা।
শনিবার বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক চুপিসারে চলে যান কলকাতায়। মমতার রাজ্যে গিয়ে তিনি চলে যান তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে।সেখানে কথা বলেন নেতৃত্বের সঙ্গে।তৃণমূল ভবন থেকে বের হওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাকে ছেঁকে ধরেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পরে যান। বিধায়ক আশীষ বলেন,”তিনি তৃণমূল ভবন দেখতে এসেছেন।বিজেপিকে নিয়ে তাঁর গলায় শোনা যায় ঐক্যের সুর।” বিধায়ক আশীষ দাস যাই বলুক না কেন সাধারণ মানুষের কাছে পুরো বিষয়টি জলের মত পরিষ্কার হয়ে যায়।
রাজ্য রাজনীতিতে কান পাতলে শুনা যায়, আগামী কিছু দিনের মধ্যে শাসক দলের আরো দুই উপজাতি বিধায়ক যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে।তাদের মধ্যে একজন গোমতী জেলার করবুক কেন্দ্রের বিধায়ক বুর্বমোহন ত্রিপুরা।অপর জন ধলাইয়ের করমছড়া কেন্দ্রের বিধায়ক দিবাচন্দ্র রাংখল।তবে এই দুই বিধায়ক এই সংক্রান্ত বিষয়ে স্পস্ট করে কিছু বলেননি সবটাই রাজনৈতিক গুঞ্জন।এটাই বাস্তব তারা দুইজনই সুদীপ রায় বর্মনের মতো বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়কের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *