ডেস্ক রিপোর্টার, ৫ফেব্রুয়ারি।
     সোমবার রাজ্যে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার সফরের কয়েকঘন্টা আগেই ত্রিপুরায় জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস। দল ছাড়লেন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোহাম্মদ জাহির উদ্দিন। সঙ্গে ২৫০ ভোটার। ভোটের মুখে এই ধাক্কায় তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা আরোও করুন হলো।
          রবিবার বক্সনগরে সংবাদিক বৈঠক করেন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোহাম্মদ জাহির উদ্দিন।তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সহ রাজ্য সভাপতি পিযুষ কান্তি বিশ্বাস ও সুস্মিতা দেবের বিরুদ্ধে। জহির উদ্দিন বলেন, তৃণমূল কর্মীদের মাথা বিক্রি করে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোটি কোটি টাকা রোজগার করছেন।
          ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জাহির উদ্দিন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে কোনো ডিসিপ্লিন নেই।কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কিছু জানালেও কাজ হয় না।তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসতে চায় না।তারা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের দালালী করছে।
    তৃণমূল নেতা জাহির উদ্দিনের অভিযোগ, নির্বাচনে টিকিট বন্টন নিয়ে দুর্নীতি করেছে নেতৃত্ব। দালাল সংস্থা আই – প্যাক,  সভাপতি পিযুষ কান্তি বিশ্বাস ও সুস্মিতা দেব রাজনৈতিক ভাবে ব্ল্যাক মেল করছেন।তারা টাকা কমেছে কর্মীদের সামনে রেখে।
           জাহির উদ্দিনের কথায়, এদিন তারা মোট ২৫০ ভোটার দল ছেড়েছেন।এবং ধনপুর বিধানসভায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটিও ভেঙ্গে যায়।এই কমিটির ২১ জনের মধ্যে ২০জন দল ছেড়ে দিয়েছে। জাহির দাবি করেন, তিনি নিজের টাকায় রাজনীতি করেন। উপরের নেতাদের মতো দালালী করেন না।
         তবে শুধু জাহির উদ্দিন নয়।তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের আগেই ত্রিপুরায় ছিন্নমূল হয়ে যাবে।বলছেন খোদ দলীয় কর্মীরা।কারণ পিযুষ,সুস্মিতার শুধু ছুটছেন টাকার পেছনে।সঙ্গে আছে তাদের দোসর আই প্যাক। বাস্তব অর্থে অসম রাজনীতিতেও কোন বেইল নেই সুস্মিতা দেবের। তিনি কি করবেন ত্রিপুরায়।আর এই কারণেই  ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস কখনো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেন না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *