ডেস্ক রিপোর্টার, ১৭সেপ্টেম্বর।।
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে চতুর্থ ইনিংস শুরু করেছিল সাড়া জাগিয়ে। আচমকা প্রতাশ্যা জাগিয়ে ছিলো মানুষের মনে। সাধারন মানুষ দাড়িয়ে ছিলো পাশে। কিন্তূ হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলেছে। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে চার কেন্দ্রের উপ ভোটে।
রাজনীতিকরা বলছে, তৃণমূল কংগ্রেস বরাবর নিজের ঘরের পুরানো কর্মীদের বঞ্ছিত করে দল ছুটদের দলে টানতে শুরু করেছে। তার প্রমাণ সুবল ভৌমিক। চতুর্থ দফায় সুবল তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগেই একটা হৃদম পেয়েছিলো। দলের পুরানো কর্মীরা সব দিকেই ভাল কাজ করতে শুরু করেছিল। শাসক দল বিজেপির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চলে এসেছিল লড়াইয়ের ময়দানে। আগরতলা, তেলিয়ামুরা আমবাসা, কাঞ্চনপুর কৈলাসশহর ,বিশালগড়, সোনামুড়া সহ বিভিন্ন জায়গাতে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল তৃণমূল।তখন কিন্তু সুবল ভৌমিক দলে ছিলেন না। পুরানো কর্মীরাই শাসকের চোখ ছানা বড়া করে দিয়েছিল। প্রবল উৎসাহ নিয়ে কাজ করছিলো কর্মীরা।নেতৃত্বের ছিলেন সুস্মিতা দেব, আশীষ লাল সিং।
কিন্তু হঠাৎ ছিন্ন পতন ঘটে তৃণমূল কংগ্রেসে। বঙ্গ থেকে আসা ব্রাত্য বসু ও মলয় ঘটকদের হাত ধরে সুবল ভৌমিক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। সুবলকে পেয়ে তৃণমূল উৎসাহিত হয়ে পড়ে।সাত বার দল পাল্টানো সুবলের উপর আস্থা রেখে বঙ্গ নেতৃত্ব। তখনই সুবল ভৌমিক নিজের লোকদের দলে জায়গা করে দিতে পুরানো কর্মীদের ব্রাত্য করে রাখেন। পুরানো কর্মীরা বঙ্গ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা পায়নি। শেষ পর্যন্ত তারা নীরব হয়ে যায়।অনেকেই যোগ দেয় বিজেপিতে। ফলে বড় ধাক্কা লাগে তৃণমূল কংগ্রেসে। সুবল ভৌমিকের উপর ক্ষোভ করে দল ছেড়ে দেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ দাস। আশীষ লাল সিং নিজেকে গুটিয়ে নেন। স্বাভাবিক ভাবেই আশীষ লাল সিংয়ের অনুগামীরা বসে যায়।তাতে প্রচন্ড ক্ষতির মুখে পড়ে তৃণমূল।
উপ ভোটে দল খারাপ ফলাফল করায় সুবল ভৌমিকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দলের হাল ধরেন পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। সুবলকে দল থেকে সরানোর পর পুরানো কর্মীরা উৎসাহিত হয়েছিল। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব পুরানোদের গুরুত্ব না দিয়ে ফের জন বর্জিত টিডিএফ নেতা পূজন বিশ্বাসকে দলে টেনে নিয়েছে। রাজ্য রাজনীতিতে পূজন বিশ্বাসের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। পূজন শুধু মাত্র তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে ২৩- র ভোটে টিকিট পাওয়ার জন্য। আবার ভোটের আগে অন্য কোনো দল থেকে ভালো অফার পেলে তৃণমূলকে আলবিদা জানিয়ে দিতে দ্বিধা বোধ করবেন না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
