
ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ জানুয়ারি।।
প্রদেশ বিজেপিতে অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে গেলেন শহরের রঞ্জিত নগরের দিদি! আক্ষরিক অর্থে সাংগঠনিক ভাবে হয়েছে দিদির অবনমন। ছেটে দেওয়া হয়েছে তার ডানা। সাংগঠনিক ভাবে পদের উন্নতি হলে, এটা শুধু মাত্র অলঙ্কৃত। এখানে ক্ষমতা বলতে কিছুই নেই। কাজ শুধু মঞ্চে বসে আসনের সংখ্যা বাড়ানো। দিদির এই রাজনৈতিক অবনমনের ফলে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়েছে ভাইদের মনোবল। এই ভাইয়েরা অবশ্যই দক্ষিন জেলার বিলোনিয়া মহকুমার বিজেপির এক ঝাঁক “তোলাবাজ নেতা”। তারাও এখন প্রহর গুনছে পদ হারানোর। যেকোন সময় তাদের পিঠ থেকে খসে পড়তে পারে রাজনৈতিক নেতার সিলমোহর। এমন আভাস কৃষ্ণনগর কুশাভাউ ভবনের।

সম্প্রতি বিজেপি নেতৃত্ব রঞ্জিত নগরের দিদির সাংগঠনিক ক্ষমতা খর্ব করে দিয়েছে।কারণ দিদি দীর্ঘ দিন ক্ষমতার অলিন্দে থাকলেও সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগ, দিদি সংগঠনকে বাঁধানোর পরিবর্তে উপার্জন করেছেন টু – পাইস। তিনি নাকি কমিয়েছেন দুই হাতেই। দিদির কমানো অর্থের একটি উৎকৃষ্ট উৎস “বিলোনিয়া মহকুমা”। এই মহকুমার দুইটি বিধানসভা কেন্দ্র। একটি বিলোনিয়া, অপরটি ঋষ্যমুখ। দুই কেন্দ্রেই বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের নব্বই শতাংশই তোলাবাজ। এটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে। সাধারন মানুষ নেতাদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। এই কারণেই ২৩- র নির্বাচনে দুইটি আসনই হাত ছাড়া হয়েছে বিজেপির। স্থানীয় ভোটাররা কোনো ভাবেই এই সমস্ত তোলাবাজ নেতাদের সহ্য করতে পারছেন না। বিলোনিয়ার এই তোলাবাজ নেতাদের উপদেষ্টা হলেন রঞ্জিত নগরের দিদি। এটা বিজেপির রাজনীতিতে ওপেন সিক্রেট। দিদিই নাকি হলেন তোলাবাজ ভাইদের “প্রাণ ভোমরা”। বিজেপির আন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় এই তথ্য।

দিদির অভয় পেয়ে তার তোলাবাজ ভাইয়েরা গোটা মহকুমা জুড়ে ডর- ভয়ের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। তাও আবার দলের লোকজনের সঙ্গেই। তাদের কব্জায় পুলিশও। দিদির এক তোলাবাজ ভাই সুব্রত সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্রী ভাষায় গাল মন্দ করেছিলো। প্রশ্ন তুলেছিল মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়েও। তারপরও দিদির এই মাতাল ভাই সুব্রতের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করে নি দল।দিদির আরেক ভাই সঞ্জু নম: সরাসরি এক ঠিকাদারকে কুকুরের মতো রাস্তায় ফেলে হত্যা করার হুমকি দিয়েছিলো।দিদির ভাই রাজীব পালও ভর বাজারে এক ঠিকাদারকে রাতের আধারে রক্তাক্ত করেছিলো। আবার ২৩- র নির্বাচনে বিরোধী দল সিপিআইএমকে দিয়েছিলো পঞ্চাশ হাজার টাকা। দিদির আরোও দুই ভাই রাজু নাথ, বাদল ভৌমিক গন্ডায় গন্ডায় অপরাধ করলেও তাদের কিছুই হয় নি এতো দিন। আরেক নেতা ভাইয়ের গাড়ির চালক জোর করে দখল করে নিয়েছে সরকারী জমি।

কিন্তু এখন দিনের বদল ঘটেছে। হাতের তালুতে থাকা বালির কনার মতো দিদির হাত থেকে খসে পড়েছে সাংগঠনিক ক্ষমতার ব্যাটন। তাই এখন মহা সঙ্কটে আছেন শহরের রঞ্জিত নগরের দিদির ভাইয়েরা। তাদের মাথার উপরও ঝুলছে খড়গ। যে কোনো সময়ে এই রাজনৈতিক খড়গ শেষ করে দিতে পারে দিদির আদরের ভাইদের। তাই এখন তাদের ছুটছে ত্রাহি ত্রাহি ডাক। কখন যে কি হয়, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছেন না দিদির বিলোনিয়া মহকুমার তোলাবাজ নেতারা।