ডেস্ক রিপোর্টার,৯অক্টোবর।।
তৃণমূল কংগ্রেস আগেই ঘোষণা দিয়েছিলো মমতার পাখির চোখ ত্রিপুরা। তার প্রথম ধাপ হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছে স্টিয়ারিং কমিটি। নবগঠিত কমিটি গঠনের পর সদস্যের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী। অনুষ্ঠিত বৈঠকে অভিষেক ব্যানার্জী বুঝিয়ে দেন, ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুর ভোটকেই টার্গেট করছে তৃণমূল কংগ্রেস। শারদ উৎসবের পর রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে আগরতলা পুর নিগম,পুর ও নগর সংস্থার ভোট। এই জন্য অভিষেক ব্যানার্জী জানান, আগামী ২১নভেম্বর থেকে ত্রিপুরায় টানা কর্মসূচি শুরু করবে তৃণমূল কংগ্রেস। বৈঠকে স্থানীয় নেতাদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহর থেকে গ্রাম ত্রিপুরার সর্বত্র ছোট ছোট সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতাদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে কাজের দায়িত্ব।
ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আট জেলায় তিন নেতাকে কাজ বন্টন করে দিয়েছেন।প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সুবল ভৌমিক দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী ও সিপাহীজলার দায়িত্ব পালন করবেন।স্থানীয় নেতা আশিষ লাল সিংহকে ধলাই, খোয়াই, উনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের সাংসদ সুস্মিতা দেব পশ্চিম ত্রিপুরা ও সিপাহীজলার দায়িত্ব পালন করবেন।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বাংলার মত “দিদির দূত” দিয়ে প্রচার করা হবে।বিভিন্ন রাস্তায়,মোড়ে “দিদির দূত” গাড়ি দাঁড় করিয়ে হবে সভা।বক্তব্য রাখবেন দলীয় নেতৃত্ব।
আগামী ২০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন রাস্তায় ৩টি করে “দিদির দূত”(গাড়ি) ঘুরাফেরা করবে। বাস্তব অর্থে জন সংযোগ বাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিদির দূত গাড়িগুলির দায়িত্বে থাকবেন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার সুবল ভৌমিক, সাংসদ সুস্মিতা দেব ও প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের বাপটু চক্রবর্তী।
