ডেস্ক রিপোর্টার, ১২মে।।
      ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন হত্যা মামলায় ধৃত সন্দীপ কর ওরফে আকাশকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃত সন্দীপকে শনিবার অনুসন্ধানকারী পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছিলো। পুলিশ আদালতে আকাশ করের দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক সব কিছু বিবেচনা করে তার পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদিন সন্দীপ করের আইনজীবী তার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন। বিচারক  সঙ্গে সঙ্গেই তা খারিজ করে দেন।
          সন্দীপ কর ওরফে আকাশকে বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের  সাহেবগঞ্জ জেলার পাকুর রেল স্টেশনে গ্রেফতার করেছিলো রেল পুলিশ। অবশ্যই রাজ্য পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। পরে রাজ্য পুলিশের একটি টিম ঝাড়খন্ডে গিয়ে আকাশকে গ্রেফতার করে রাজ্যে নিয়ে আসে।শনিবার সকলের বিমানে পুলিশ তাকে নিয়ে আসে আগরতলা বিমান বন্দরে।সেখান থেকে সরাসরি জিবি হাসপাতালে। শারিরীক পরীক্ষার পর তদন্তকারী পুলিশ ধৃত সন্দীপকে আদালতে সোপর্দ করেছিলো।


সরকার পক্ষের আইনজীবী শঙ্কর লোধ জানিয়েছেন, ধৃত সন্দীপ কর ওরফে আকাশ ভিকি খুনের মূল শ্যুটার। সেই ভিকিকে সামনে থেকে গুলি করে খালাস করেছে। পুলিশী তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য।এবং তদন্তকারী পুলিশ এই বিষয়ে একশ শতাংশ নিশ্চিত। আইনজীবী শঙ্কর লোধের কথায়, সিসি ক্যামেরার উদ্ধার কৃত ফুটেজ থেকে পুলিশ আকাশ করের অপরাধ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। এবং ধৃত সুস্মিতা সরকারও পুলিশকে দিয়েছে একই তথ্য। তদন্তকারী পুলিশ সন্দীপ করের বাড়ি থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছে। তাতেও দেখা যাচ্ছে ঘটনার রাত ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ আকাশ তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে গাড়ি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে দ্রুততার সঙ্গেই। এর কিছুক্ষন আগে অর্থাৎ রাত ৮টা নাগাদ শালবাগান হাতিপাড়াতে খুন হয়েছিলো ভিকি। ঘটনার রাতে আকাশ কেন পালিয়ে যাচ্ছিল গাড়ি করে? এই খটকা থেকেই আকাশের প্রতি পুলিশের সন্দেহ আরোও গভীর হয়েছিলো।
               আইনজীবী শঙ্কর লোধ জানিয়েছেন, ভিকিহত্যা মামলার মূল মাষ্টার মাইন্ড রাজু বর্মন ও তার ভাইয়েরা এখনো পলাতক। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করছে পুলিশ। খুনের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার হয় নি। আইনজীবীর আশা, ধৃত সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভিকি খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *