ডেস্ক রিপোর্টার,২৩ জুন।।
   চরম হতাশা গ্রাস করেছে প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাসকে।২৩- র  নির্বাচনে পরাজয়ের পর মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি।বিজেপি নেতৃত্বও তাকে এখন দিচ্ছে না গুরুত্ব।হতাশাগ্রস্থ দিলীপ এখন বলছেন নীতি কথা। আদ্য শ্রাদ্ধ করছে খোদ বিজেপিকেই।

।।বিজ্ঞাপন।।

সম্প্রতি প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস তার সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। এই পোস্ট বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়ে যায়, রাজপাট হারিয়ে দিলীপের মানসিক অবস্থা এখন কোন জায়গাতে ঠেকেছে। বড়জলা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “ছেড়া লুঙ্গি আর গামছা পড়ে স্বাধীনতা এনেছিল অশিক্ষিত মূর্খ কামলারা। এখন শার্ট প্যান্ট কোট, টাই পরে দেশ ধ্বংস করছে বড় বড় শিক্ষিত বাটপারেরা।”
  রাজনীতিকরা বলছেন, দিলীপ দাস বুঝানোর চেষ্টা করছেন, ১৮তে ছেড়া লুঙ্গি ও গামছা পড়ে মূর্খ কামলারা এই রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল। আর এখন কোট , টাই পরে কিছু শিক্ষিত বাটপার ধংস করছে। দিলীপ দাসের কথাকে যথার্থই বলেছেন,  রাজনৈতিক প্রাজ্ঞরা।

।।বিজ্ঞাপন।।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, ১৮ সালে তো দিলীপ বাবু নিজেই কোট, টাই পরে রাজনীতি করেছেন।আম আদমি পার্টি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।দল টিকিট দিয়েছিলো। তীব্র বাম বিদ্বেষ ও মোদী ফ্লেভারের  কারণে বড়জলা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হয়েছিলেন।নিজের কোনো করিশমা ছিলো না। বিধায়ক হওয়ার পর রাজনৈতিক নেতা হিসাবে ডাক্তার বাবু কোনো ভালো টিম গঠন করতে পারেন নি।যাদেরকে রেখেছিলেন, তারা ছিলো দাগি সমাজদ্রোহী। এখন তারা ক্ষমতাহীন দিলীপের সঙ্গ ত্যাগ করেছে। তাই দিলীপ হতাশ। দিলীপ ভেবেছিলেন দাগি সমাজদ্রোহীদের দিয়ে তিনি ২৩- র নির্বাচনেও বৈতরণী অতিক্রম করতে পারবেন। কিন্তু হলো না। তাই তিনি এখন হতাশাগ্রস্থ।

।।বিজ্ঞাপন।।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দিলীপ দাসের কথার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পৃথক দৃষ্টি কোন থেকেও। ছেড়া লুঙ্গি পরে মূর্খ কামলারা স্বাধীনতা এনেছেন। আর এখন কোট, টাই পরে দেশ ধংস করছেন শিক্ষিত বাটপারেরা। দিলীপ দাস এই বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকেও তির ছুঁড়তে পারেন। তবে দিলীপ দাস  দিন দিন একজন রোগী হয়ে উঠছেন বলেই মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি দিলীপ দাস তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি বলেছিলেন, রাজ্য বিজেপিতে নাকি এখন বানরদের বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *