ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
চয়ন ভট্টাচার্য ধর্মনগর রাজনীতির একজন ডাক সাইটের নেতা। দীর্ঘ জীবন তিনি ছিলেন উত্তর জেলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের সেনানী। কিন্তু দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কমিউনিস্টদের উপর আস্থা হারিয়ে তিনি বেছে নিলেন জাতীয় কংগ্রেসকে।চয়ন ভট্টাচার্য’র বিশ্বাস দেশ ও রাজ্যে একমাত্র কংগ্রেসই পারবে বিজেপি’র বিকল্প হয়ে উঠতে। কমিউনিস্ট আন্দোলনের পোড় খাওয়া নেতা চয়ন ভট্টাচার্য বুধবার আগরতলায় কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়ে একথা বলেন। তাঁর হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন পোস্ট অফিস চৌমুহনীর হেভিওয়েট নেতা তথা প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মন। সঙ্গে ছিলেন এআইসিসি’র নেত্রী জরিতা ও প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি গোপাল রায়।
কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন জানিয়েছেন, এদিন সিপিআইএম, বিজেপি ও তৃণমূল থেকে মোট ৮৪জন নেতৃত্ব বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন।তার মধ্যে সিপিআইএমের ৫০জন, বিজেপি’র ২৫জন ও তৃণমূল কংগ্রেসের ৯জন। সুদীপের দাবি, আগামী দিনে ধস নামবে।প্রচুর মানুষ কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
বাম জামানায় চয়ন ভট্টাচার্য ছিলেন ধর্মনগর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন।এছাড়া সিপিআইএমের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের মাথায় ছিলেন তিনি।কিন্তু গত মাস দুয়েক আগেই থেকেই চয়ন ভট্টাচার্য নীরবেই সিপিআইএম থেকে সরে যান।দল এবং সংগঠনের বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেন। শেষ পর্যন্ত এই কমিউনিস্ট নেতা আকৃষ্ট হন কংগ্রেস রাজনীতির দিকে।
কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন জানিয়েছেন, এদিন সিপিআইএমের কর্মচারী সংগঠনের নেতা দিব্যেন্দু নাথ সহ বাম নেতা নিরঞ্জন চৌধুরী,নজরুল ইসলাম, প্রদীপ দেব,দেবাশীষ পাল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি থেকে এসেছেন মনমথ নাথ,অপর্ণা দেবনাথ, নীতা সরকার, নীলকান্ত দাস,তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যোগ দিয়েছেন প্রসেনজিৎ রায়।তিনি পুর ভোটে ধর্মনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। কংগ্রেসের এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের বিজেপি’র বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেনের খুড়তুতো ভাই।তিনিও বিজেপি’র অনাস্থা প্রকাশ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।দাবি কংগ্রেস নেতৃত্বের।
