ডেস্ক রিপোর্টার,১৫এপ্রিল।।
পয়লা বৈশাখ বাঙালির চিরাচরিত পরম্পরা, ঐতিহ্য, কৃষ্টি – সংস্কৃতি, ভুঁড়ি ভোজের দেদার আয়োজন। নববর্ষের প্রথম দিন ভোর হতেই বাঙালি থলি হাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বাজারের মাছ, মাংস, দই, মিষ্টির দোকান গুলোতে।

শুক্রবার সকাল থেকে গোটা রাজ্যের হাঁট-বাজারগুলোতে লোকে লোকারণ্য। উৎসব প্রিয় বাঙালি প্রতিটি ক্ষেত্রে ভিড় জমিয়েছে।

রাজধানীর লক্ষী নারায়ণ মন্দিরে বিশাল মেলার আয়োজন।হাল খাতা হাতে নিয়ে ব্যবসায়ীরা ভিড় করেছেন মন্দিরের মূল ফটকে।রাজ্যের আরো বহু জায়গাতে ব্যবসায়ীরা তাদের বাণিজ্যের শ্রীবৃদ্ধির জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন। প্রতিটি ধর্মস্থানেই একই দৃশ্য।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারেও বাঙালিরা যে যার আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী প্রিয় মাছ,মাংস, মিষ্টি,দই নিয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। মাঝখানে দুই বছর মারণ ভাইরাস করোনার জন্য বাঙালির পয়লা বৈশাখের উৎসবের প্রাণে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো।এবার অবশ্যই করোনামুক্ত অবস্থায় প্রাণ চঞ্চল বাঙালির ঘরে ঘরেই নববর্ষে উৎসবের আমেজ। শেষ দুই বছরের উৎসবের আমেজ যেন এবার মিটিয়ে নেওয়ার উচ্ছাস লক্ষ্য করা যায় প্রতিটি বাঙালির মধ্যে।

ত্রিপুরা, পশ্চিম বাংলা,আসাম সহ দেশ-বিদেশের প্রতিটি বাঙালির মধ্যেই ধরা পড়ছে নববর্ষের উৎসবের এই পরম্পরাগত আনন্দের ঝলক। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারেও বাঙালিরা উৎসবের বাজারে সাবলীল। ১৪২৮কে বিদায় জানিয়ে ১৪২৯-কে বরণ করে নিয়ে নতুন স্বপ্নের ক্যানভাস আঁকতে শুরু করেছে প্রতিটি বাঙালি।