
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৭জুন।।
২৪- র অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ।নতুন সমীকরণের থাকছে চমকে।২৪- এ বামেদের সঙ্গে হাত ধরবে না তিপ্রামথা। মথার সঙ্গে হাত ধরবে কংগ্রেস।বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস ত্যাগ করবে সঙ্গ।সম্পন্ন হয়েছে প্রদ্যুৎ – সুদীপের প্রথম বৈঠক।
২৪- র বাজার ধরতে মুখিয়ে আছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর। প্রদ্যুৎ কিশোরের পাখির চোখ লোকসভার পূর্ব আসন। উপজাতি সংরক্ষিত আসনটিকে দখল করার লক্ষ্যে তিপ্রামথা ব্লু প্রিন্ট রচনা করেছে।

রাজনৈতিক মহলের খবর অনুযায়ী, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এক মঞ্চে আসতে চলছে কংগ্রেস ও তিপ্রামথা। দুই দলের মধ্যে হবে আসন সমঝোতা। পুর্ব আসনে প্রার্থী দেবে তিপ্রামথা। এবং পশ্চিম আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিষয়ে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর ও কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। এই বৈঠকের খবর পৌঁছে গেছে এআইসিসির দরবারেও। এআইসিসি- ও তাতে নাকি সায় দিয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নতুন বন্ধু তিপ্রামথার সঙ্গে সংসার পাতলে কি হবে পুরানো বন্ধু সিপিআইএমের? কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে ২৩- র বন্ধুত্ব আর বজায় রাখবে না। তারা ত্যাগ করবে লাল বাড়ির সঙ্গ। এবং সম্পর্ক গভীর করবে রাজবাড়ির সঙ্গে। এই চিত্র প্রায় পরিষ্কার।প্রাথমিক আলোচনা শেষ।ধীরে ধীরে বাড়বে আলোচনার বহর। প্রদ্যুৎ কিশোর কথা বলবেন কংগ্রেসের হাই- কমান্ডের সঙ্গে। রাজনীতিকরা বলছেন, এই সমীকরণে পূর্ব আসন বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। বামেদেরকে আগেই সরে যেতে হবে লড়াইয়ের বৃত্ত থেকে।

রাজনীতিকরা বলছেন, পূর্ব আসনের জনজাতি ভোটের বড় অংশ তিপ্রামথার দখলে। বাঙালি ভোট ভাগাভাগি হবে বিজেপি ও সিপিআইএমের সঙ্গে। এতে রাজনৈতিক ভাবে লাভবান হবে তিপ্রামথা। হার্ডকোর কংগ্রেসীরা ভোট দেবে তাদের জোটের প্রার্থী তিপ্রামথাকে দেবে।এক্ষেত্রে সংখ্যা খুব কম হবে। অর্থাৎ তুল্যমূল্য বিচারে বিজেপি ও কংগ্রেস – মথা জুটে মধ্যে হবে জোর লড়াই।

২৪- র নির্বাচনে কংগ্রেস ও তিপ্রামথার জোট ধর্ম যদি বাস্তবায়িত হয়,তাহলে নিঃসন্দেহে হতাশ হবে বামেরা।কারণ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের খাতা খোলার পেছনে বড় অবদান সিপিআইএমের।কারণ নির্বাচনে বাম ভোটাররা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস ভোটাররা দেয় নি। বরং তারা ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। তাছাড়া তিপ্রামথাও বামেদের সঙ্গে করেছিলো বিশ্বাস ঘাতকতা।এখন কংগ্রেস বামেদের সঙ্গ ছেড়ে মথার সঙ্গে হাতে হাত মিলালে রাজ্য রাজনীতিতে একা হয়ে পড়বে অতীতের দানবীয় শক্তি সিপিআইএম।