তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১২ ডিসেম্বর।।
নাবালিকা গৃহ-শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার এক অভিভাবক।অভিযুক্তের নাম রাজেন মলসুম।বাড়ি তেলিয়ামুড়া থানাধীন সর্দু-করকরী এডিসি ভিলেজের প্রত্যন্ত গ্রাম দেবতাং এলাকায়।অভিযুক্ত রাজেনের অবস্থান বর্তমানে তেলিয়ামুড়া থানায়।শনিবার গভীর রাতে পুলিশ রাজেনকে গ্রেফতার করে। এখন চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।সোমবার সকালে রাজেনকে খোয়াই আদালতে সোপর্দ করা হবে।নির্যাতিতা নাবালিকা গৃহ শিক্ষিকা বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
পুলিশ জানিয়েছে, তেলিয়ামুড়া থানাধীন সর্দু-করকরী এডিসি ভিলেজের প্রত্যন্ত গ্রাম দেবতাং এলাকার হত দরিদ্র পরিবারের কন্যা সন্তান সেবিকা(পরিবর্তিত নাম)। নাবালিকা মেয়েটি অসমের হাফলং’র একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।গত আগস্ট মাসে বিদ্যালয়ের দীর্ঘ ছুটিতে সেবিকা বাড়িতে আসে।পরিবারের অভাব অনটন গুছাতে সেবিকা প্রাইভেট টিউশন করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিবেশী রাজেন মলসুম তার দুই শিশুকে শিক্ষা দানের জন্য প্রস্তাব দেয় সেবিকাকে। তাতে রাজি হয় সেবিকা। যথারীতি সেবিকা তার প্রতিবেশী রাজেন মলসুমের শিশুদের শিক্ষা দান শুরু করে।
ধর্ষিতা নাবালিকা স্কুল ছাত্রী সেবিকার অভিযোগ, চলতি বছরের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহের কোনো একদিন সে যায় রাজেন মলসুমের বাড়িতে।এদিন ছিল প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি।অন্যান্য দিনের মতো গৃহ শিক্ষিকা সেবিকা তার ছাত্রদের শিক্ষা দান করে।পঠন-পাঠনের শেষে যথারীতি শিশুরা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।এমসয়ই সেবিকার জীবনে নেমে আসে ঘোর বিপদ। তার সামনে হাজির হয় পাষন্ড অভিভাবক রাজেন। আচমকা রাজেন ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।এসময় বাড়িতে ছিলো না তার স্ত্রীও।বাড়ির নির্জনতার সুযোগ নিয়ে রাজেন নাবালিকা গৃহ শিক্ষিকার ধর্ষণ করে।
রাজেন তার যৌন লালসা মেটানোর নাবালিকা গৃহ শিক্ষিকাকে হুমকি দেয়,”এই ঘটনা কাউকে বললে তাকে খুন করে ফেলবে।” এই ভয়ে নাবালিকা গৃহ-শিক্ষিকাও মুখ খুলেনি। মেয়েটি অপমানে কাঁদতে কাঁদতেই অশ্রুভরা নয়নে বাড়ি চলে আসে । জীবন মৃত্যুর ভয়ের খেলায় নাবালিকা মেয়েটি দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ পরিবারের সদস্যদের কাছেও গোপন রাখে গোটা ঘটনা।
নাবালিকা গৃহ শিক্ষিকা সেবিকার পরিবারের অভিযোগ, গত কিছুদিন ধরে সেবিকার নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।তখন বাধ্য হয়ে সেবিকা পুরো ঘটনা খুলসা করে পরিবারের লোকজনের কাছে। তারা সঙ্গে সঙ্গেই সেবিকাকে নিয়ে যায় চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক জানিয়ে দেন, সেবিকা বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শেষ পর্যন্ত সেবিকার পরিবারের সদস্যরা দ্বারস্থ হয় তেলিয়ামুড়া থানাতে। শনিবার রাতে সেবিকার পরিবারের পক্ষ থেকে থানা মামলা(১৪৭/২০২১) দায়ের করা হয় । পুলিশ রাজেন মলসুমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬,৫০৬ ধারা এবং পসকো আইনের 8ধারায় মামলা লিপিবদ্ধ করেছে। মামলা রুজু করে রাতেই তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ রাজেনকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে।পুলিশে উপস্থিতি টের পেয়ে রাজেন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে টানা দুই ঘন্টা অভিযানের পর পুলিশ রাজেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
