“মহিলাদের আত্মসম্মান সুনিশ্চিতিকরণ ও ক্ষমাতায়নে গুচ্ছ পরিকল্পনা রূপায়িত হচ্ছে রাজ্যে। নারী শক্তির সামাজিক সম অংশীদারিত্ব ব্যতীত রাজ্যের সর্বাঙ্গীন বিকাশ সম্ভব নয়। মহিলাদের আক্ষরিক ক্ষমতায়নের প্রকৃত প্রতিফলন রাজ্য বাজেট । মহিলাদের নানান সুযোগ সম্প্রসারণ ও ইতিবাচক মানসিকতার ফলশ্রুতিতে টিএসআর বাহিনীতে অংশগ্রহনেও মহিলাদের আগ্রহ বেড়েছে। ভারতীয় ব্যবস্থা, পরম্পরা ও সংস্কৃতি – দেশের বাইরেও সমাদ্রিত।”—বক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।রবিবার বাঁধারঘাটে আয়োজিত বিজেপি’র জনসভায় একথা বলেন তিনি।

রাজ্যে ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ ও স্বনির্ভর ত্রিপুরা গড়তে যে জনমূখী বাজেট পেশ করা হয়েছে তার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বাধারঘাটে এদিন ঐতিহাসিক ধন্যবাদ সভার আয়োজন করেছে বাধারঘাট মন্ডল।এদিনের সভায় মহিলাদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাধারঘাট মন্ডল আয়োজিত ধন্যবাদ সভায় উপস্থিত শত শত মা বোনেরা রাজ্য সরকার তথা আমার প্রতি তাদের যে স্নেহ ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা অতুলনীয়।বিজেপি সরকার মহিলাদের কল্যাণে কাজ করে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, চৈত্র নবমীর এই পুণ্যদিনে মাতৃশক্তির এই আশীর্বাদ, ভালোবাসা ও স্নেহ লাভ করে তিনি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছেন।বিজেপি সরকার মহিলা সশক্তিকরণ ও মহিলা সুরক্ষাকে প্রাথমিকতা দিয়ে ক্রমাগত কাজ করে চলেছে।

রাজ্যে দীর্ঘ বাম শাসনে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে, রাজ্যব্যাপী অনেক সাধারণ মানুষের জীবন দ্বীপ অস্তমিত হয়েছিলো। এদিন বাধারঘাটে আয়োজিত কর্মসূচিতে, বাম বিরোধী আন্দোলনে জীবন উৎসর্গীত শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাধারঘাট মন্ডলের আয়োজিত এই ধন্যবাদ সভাতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়িকা মিমি মজুমদার। ধন্যবাদ সভায় মহিলাদের উপস্থিতি দেখে বিধায়িকা মিমি মজুমদারের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।