ডেস্ক রিপোর্টার, ১৮মে।।
ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকির খুনিরা এখনোও আছে বহাল তবিয়তে।হত্যাকাণ্ডের এক পক্ষ কাল পরও তারা পুলিশের রাডারের বাইরে। কোথায় আছে বর্মন ব্রাদার্স সহ বিমান, প্রভাকর ও সুকান্তরা? জানেন না দুদে অনুসন্ধানকারী পুলিশ। আর রাজ্যের আপরাধ জগতের মিসিং লিংক অমিতাভ ঘোষ ওরফে অমিত ঘোষ কোথায় ডুব দিয়েছেন? ধন্দে আছেন পুলিশ কর্তারা। তদন্তকারী পুলিশের হাতের নাগালের বাইরে রাজু বর্মনের বাড়ি কম্পিউটারে হার্ড ডিস্ক। এটার মধ্যেই ধরা আছে রাজুর বর্মনের বাড়ির বৈঠকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য রাজনীতির ও ঠিকাদারি ব্যবসার রাঘব বোয়ালরা। যাদের নাম সামনে আসতেই পুলিশকেও কয়েক কদম পিছিয়ে যেতে হচ্ছে।

ভিকি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। একজন ব্যতীত বাদবাকীরা আছে পুলিশ রিমান্ডে। ধৃত সুস্মিতা সরকারকে শুক্রবার আদালতে তোলা হলে,বিচারক তাকে পাঠিয়ে দেয় জেল হাজতে।সুস্মিতা সরকার সহ প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী, বীরচক্র ঘোষ, ঊমা সরকার, সানি দত্ত রায়, সন্দীপ কর ওরফে আকাশ প্রত্যেকেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

কিন্তু কাউর কাছ থেকেই পুলিশ রাজু বর্মন, তার দুই ভাই দেবব্রত বর্মন, রাকেশ বর্মন, বিমান দাস, প্রভাকর ঘোষ, সুকান্ত গুপ্ত, অমিত ঘোষদের সঠিক আস্তানার খবর পাচ্ছে না। অথচ পুলিশ দাবি করেছিলো প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী, সুস্মিতারা তদন্তে সাহায্য করছে। কিন্তু কিভাবে? পরবর্তী সময়ে রাজুর আরোও লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কাউর কাছ থেকেই পুলিশ রাজু বর্মনদের গোপন আস্তানার খোঁজ পাচ্ছে না।

তদন্তকারী পুলিশের প্রাথমিক ধারণা ছিলো অভিযুক্তরা ঘটনার পর কলকাতায় পাড়ি দিয়েছে। সেই অনুযায়ী পুলিশ কলকাতাতে জাল বিস্তার করেছিলো। কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেছিল রাজুর অনুগামী বীরচক্রকে। এরপর পুলিশও হয়ে যায় কিছুটা নিষ্প্রভ। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ভিকিকে খুনের পর অভিযুক্তরা গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন জায়গাতে অবস্থান করেছিলো।কয়েকজন অবস্থান করেছিলো কলকাতাতে।

বাদবাকী কলকাতায় একদিন অবস্থান করে পশ্চিমবাংলার দিয়ে সীমান্ত ডিঙ্গিতে চলে যায় ওপার বাংলায়। ওপারেও রাজুর বর্মনের লোকজন রয়েছে।সর্বপরি বাংলাদেশের অপরাধীদের সঙ্গে অমিত ঘোষের বড় নেট ওয়ার্ক আজও সক্রিয়। খবর অনুযায়ী, বর্মন ব্রাদার্স সহ বিমান, সুকান্তরা এখন দেশের মধ্যেই নেই। তারা অবস্থান করেছে বাংলাদেশে।স্বাভাবিক ভাবেই তাদেরকে এতো সহজে গ্রেফতার করতে পারবে না। অভিযুক্তরা নিরাপদ স্থানে বসে পুলিশী তদন্তের তামশা দেখছে।

পুলিশের তদন্ত আরোও কিছু দিন এভাবে চলতে থাকলে যেকোন সময়ে যে থিতিতে যাবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।আরো পাঁচটি মামলার মতোই এক সময় অভিযুক্তরা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করবে। এবং পেয়ে যেতে পারে জামিনও।তখন মামলার গুরুত্ব আরো কমে যাবে।

এক সময়ে মামলা হয়ে যাবে ক্লোজ চ্যাপ্টার। তত দিনে সংবাদ মাধ্যমও মুখ ফিরিয়ে নেবে। কারন সংবাদ মাধ্যমের কাছে হয় তখন চলে আসবে আরোও বড় ইস্যু।তখন সোনায় সোহাগা হবে রাজু বর্মন সহ বাদবাকী অভিযুক্তদের।পুরোপুরি ভাবে তারা চলে যাবে পর্দার অন্তরালে।