তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,১৯ ফেব্রুয়ারি।।
বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই কল্যাণপুর থানাধীন দ্বারিকাপুর এলাকায় খুন হলেন পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব এক ব্যক্তি। নাম দিলীপ শুক্ল দাস।এই এলাকাতেই তার বাড়ি। নামের জনৈক শ্রমিক। ঘটনা শনিবার রাতে। জিবিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণ কমল দাসকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে গ্রেফতার দেখায় নি।
খবর অনুযায়ী, দ্বারিকাপুরের বাসিন্দা দিলীপ শুক্ল দাস শনিবার রাতে তার কয়েকজন সঙ্গী সাথী নিয়ে স্থানীয় গ্রাম প্রধান কৃষ্ণ কমল দাসের বাড়িতে যায়। এবং টানা পাঁচ বছর ধরে চলে আসা দ্বারিকা পুর পঞ্চায়েতের দুর্নীতি নিয়ে সরব হন। গ্রাম প্রধান কৃষ্ণ কমল দাসের কাছে দিলীপ শুক্ল দাস জানতে চেয়েছিলেন, তিনি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত কেন?এই ইস্যু কেন্দ্র করে এক সময় কৃষ্ণ ও দিলীপের মধ্যে তীব্র বাক বিতন্ডা হয়। শুরু হয় ধস্তা ধস্তধস্তি। অভিযোগ, এক সময় প্রধান কৃষ্ণ কমল দাস রড – লাঠি দিয়ে আঘাত করে দিলীপের মাথায়।ঘটনাস্থলেই দিলীপ রক্তাক্ত অবস্থাযমাটিতে লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অকুস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক বাহিনী । তারা রক্তাক্ত অবস্থায় দিলীপ কে উদ্ধার করে কল্যাণপুর হাসপাতালে নিয়ে আসে। দিলীপ শুক্ল দাসের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়াতে তাকে।চিকিৎসকরা জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেয়। জিবিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিলীপ শুক্ল দাসের মৃত্যু হয়।
দিলীপ শুক্ল দাসের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই গোটা কল্যাণপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠে। বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিআইএমের বক্তব্য,পরিকল্পিত ভাবে দিলীপ শুক্ল দাসকে খুন করেছে প্রধান কৃষ্ণ কমল।ঘটনার সময় কৃষ্ণ কমলের বাড়িতেই ছিলো তার অনুগামীরা।ঘটনার পর থেকে তারা এলাকা ছাড়া।পুলিশ একটি খুনের মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।তবে শুধু মাত্র অভিযুক্ত কৃষ্ণ কমল দাসকে থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।কিন্তু বাদবাকি অভিযুক্তরা পলাতক। এদিকে জিবি হাসপাতাল মর্গ থেকে খুন হওয়া বাম কর্মী দিলীপ শুক্ল দাসের মৃতদেহ দিচ্ছে না পুলিশ। ময়না তদন্তের পর নানান অছিলায় লাশ আটকে রাখার চেষ্টা করছে পুলিশ। অভিযোগ বামেদের।ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে সহ অন্যান্য সিপিআইএম নেতৃত্ব।
