
“সিপিআইএমের সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে ঘুরিয়ে হলেও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রচার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির উত্থান আটকে গিয়েছে। তারা ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো ফলাফল করতে পারেনি। একক ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ। ইণ্ডিয়া জোটের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক কে গোপালন ভবন।”…

ডেস্ক রিপোর্টার, ১২জুন।।
গোটা দেশেই বামেরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বামেদের দৈন্য দশা আবারও প্রকট হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে অতীতের বামেদের দুর্জয় ঘাঁটি ত্রিপুরা ও বাংলাতে একেবারেই নড়বড়ে। তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তাই পলিটব্যুরোর অনুষ্ঠিত বৈঠকের শেষে নয়া দিল্লির গোপালন ভবন থেকে লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রকাশিত বিবৃতিতে স্থান পায় নি ত্রিপুরা।একই অবস্থা বাংলার।

সিপিআইএমের সদর দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে ঘুরিয়ে হলেও ভারতীয় জনতা পার্টির প্রচার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির উত্থান আটকে গিয়েছে। তারা ২০১৪ ও ২০১৯ সালের মতো ফলাফল করতে পারেনি। একক ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ। ইণ্ডিয়া জোটের সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এক কে গোপালন ভবন।

বিবৃতিতে ‘বামেদের পারফরম্যান্স’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ‘বাম দলগুলি সামান্য হলেও লোকসভায় তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে পেরেছে। এবার বামেদের মোট আটজন সাংসদ সংসদে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন সিপিএম, দু’জন সিপিআই এবং দু’জন সিপিআই এমএল থেকে। তবে পলিটব্যুরো খুব বেশী হতাশ হয়েছে কেরলের ফলাফল নিয়ে।

কিন্তু গোটা বিবৃতিতে কোথায়ও ত্রিপুরা ও বাংলার বামেদের সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয় নি। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝে গিয়েছেন, ত্রিপুরা ও বাংলায় বামেদের শূন্যতাই গ্রাস করছে।ভোটের রেজাল্টে ” শূন্য” তাদের পিছু ছাড়ছে না।

এই ফলাফলের পর একে গোপালন ভবনের বিবৃতি থেকে স্পষ্ট ত্রিপুরা ও বঙ্গ সিপিএমের শূন্যতার বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ।ত্রিপুরা ও বাংলায় ২০১৯- র লোকসভা নির্বাচনে সুপার ফ্লপ করেছিলো সিপিআইএম।

ত্রিপুরায় ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরেও ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে নি। ১৮- র তুলনায় কমে গিয়েছে আসন। প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথা সিপিআইএমকে ভিক্ষা দিয়েছে “বিরোধী দলের তকমা”।

২০২১ – এ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনেও একই অবস্থা ছিলো বামেদের। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা ও বঙ্গ–সিপিএমের সব অঙ্কের ফল শেষে শূন্যই হয়েছে।

শূন্যের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে নি মেলারমাঠ ও আলিমুদ্দিন। এই কারনেই ত্রিপুরা ও বাংলার ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে বিবৃতিতে কোনো স্থানই দেন নি সীতারাম।