
তেলিয়ামুড়া ডেস্ক, ১৬জুলাই।।
পানীয় জলের সমস্যায় নাজেহাল গিরিবাসী অংশের মানুষজন। আজও পানীয় জলের সমস্যা যেন বংশ-পরম্পরা অভিশাপের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে।
২৫ বছরের বাম জমানা থেকে শুরু করে এ.ডি.সি প্রশাসনের বুবাগ্ৰার সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও কোনো আমলেই তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে নি। উপজাতি গিরিবাসীদের ভাগ্যের চাকা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। এমনটাই দৃশ্য পরিলক্ষিত হলো তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ রামকৃষ্ণপুর এ.ডি.সি ভিলেজে।
ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন হয় বুবাগ্ৰার তিপ্রামথা সরকার। কিন্তু ক্ষমতায় বসার প্রায় পনেরো মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে ব্যার্থ তারা। বলছেন পাহাড়ের ভুক্ত ভুগী মানুষ।
নির্বাচন এলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা আমলাদের ভোট ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আমজনতার দোয়ারে দোয়ারে ঘুরতে দেখা গেলেও ভোট পর্ব সাঙ্গ হতেই প্রতিশ্রুতির পাখি ফুড়ুৎ। অথচ গিরিবাসীদের ভাগ্যের কোনো হেরফের ঘটে নি।

শনিবার মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীনস্থ রামকৃষ্ণপুর এ.ডি.সি ভিলেজ এলাকাটিতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল প্রতিটি বাড়ির সামনে বালতি, কলশী,ড্রাম ইত্যাদি রাখা রয়েছে।
কারণ, এই এলাকার একমাত্র ভরসা গাড়ি যুগে প্রদান করা পানীয় জল। অথচ এলাকায় সাপ্লাইয়ের পাইপ লাইন থাকলেও সেগুলো দিয়ে সঠিক সময়ে সর্বদা জল সরবরাহ করা হয় না। ফলে এই এলাকায় বসবাসকারী গিরিবাসীদের প্রচন্ড ভাবে কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়।
তাছাড়া রাস্তার পাশে রাখা জলের পাত্র গুলো সবসময় ঢেকে রাখা সম্ভব হয় না।
ফলে দেখা গেল,কাঠ ফাঁঠা রৌদ্রে পাহাড়ের নির্জনতার সুযোগ নিয়ে একটি কুকুর সেই জলের পাত্রগুলো থেকে নিজের জলের তেষ্টা নিবারণ করছে।
আর এই জল গুলোই আবার পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করবে গিরিবাসী অংশের মানুষজন। ফলে অজানা রোগের আশঙ্কায় আতঙ্কিত তারা।
এখন এলাকাবাসীদের দাবি,পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের প্রশাসন।