ডেস্ক রিপোর্টার,২রা এপ্রিল।।
শহর থেকে সমতল, গ্রাম থেকে পাহাড়।রাজ্যের সর্বত্র এখন ভোটের আবহ। রাজ্য জুড়ে ফত ফত করছে শাসক জোট বিজেপি – আইপিএফটি ও তিপ্রামথার পতাকা। রাজার দল আছে এডিসির ক্ষমতায়। স্ব- ঘোষিত রাজা নির্বাচনী প্রচারের প্রতিটি মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন জনজাতিদের উন্নয়ন নিয়ে। গলা ফাটিয়ে বলছেন, থানসা – থানসা। বাস্তব অর্থে পাহাড়ের সঙ্গে তিপ্রামথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ কিশোরের কোনো সম্পর্ক আছে কি?ভোটের মুখে এই প্রশ্ন তুলছেন খোদ জনজাতি অংশের মানুষ।
“চলতি মরশুমে পাহাড়ে জুম চাষের ব্যাপক ক্ষতির মুখে জুমিয়ারা। জুম করতে গিয়ে পাহাড়ের বহু পরিবার নিঃস্ব।তাদের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো।”- বলছেন গিরিবাসীরা। কিন্তু কোথায় তিপ্রামথা পরিচালিত এডিসির প্রশাসন? জুমিয়ারা ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই তাদের। জুমিয়াদের নিয়ে মুখে টু – শব্দ নেই বুবাগ্রা প্রদ্যুৎ কিশোরের।নির্বাচনের মুখে প্রদ্যুৎ জনজাতি উন্নয়নের ধ্বজা উড়িয়ে ভোট চাইছেন। অথচ হত ভাগা দিন দরিদ্র জনজাতিদের ভাগ্যের কোনো হেরফের ঘটে নি। তারা আজও আছে “উনা পেটে”। উদর পূর্তির জন্য পাহাড়ের জুমিয়াদের একমাত্র ভরসা বনের কচু। বনের কচু বিক্রি করে উপার্জিত অর্থ দিয়েই সংসার প্রতিপালন করছে জুমে ক্ষতিগ্রস্থ জুমিয়ারা। ভোটের মুখে এমন করুন চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে আঠারোমুড়া এডিসি ভিলেজের ৪৭-মাইলে।

জুম চাষে নিঃস্ব হওয়া জুমিয়ারা গোটা এডিসি অঞ্চল জুড়ে রয়েছে।তাদের এখন দুই বেলা অন্ন জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।আঠারোমুড়া এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা তথা জুমিয়া কলঙ্কিনী রিয়াং জানিয়েছেন, “তারা জঙ্গল থেকে কচু সংগ্রহ করে। সংগৃহীত কচুকে পিষে মোচা বানিয়ে নেয়। এই মোচাকে বাতাসা আকৃতি করে বাজারে বিক্রি করছে। কচু বিক্রি করে পাওয়া টাকা দিয়েই চলে তাদের সংসার।” জুমিয়াদের কথায়, জুম চাষ ভালো না হওয়ার কারণে তাদেরকে ভরসা করতে হচ্ছে বনের কচুর উপর।

জুমিয়াদের ভাষায়, তারাও বনের কচু খেয়েই উদর পূর্তি করছে। এছাড়া তাদের কাছে নেই কোনো বিকল্প। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে থাকা জুমিয়াদের অবস্থা এখন করুন। কিন্তু তাদের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই বুবাগ্রা সহ এডিসির দণ্ডমুন্ডের কর্তাদের।

অথচ তারা ভোটের প্রচার মঞ্চে জনজাতি উন্নয়নের জয় গান গাইছেন। তারা এখন রাজ্যের শাসক দলের শরিক।তারপরও কেন আজকের দিনেও জুমিয়াদের উদর পূর্তির জন্য ভরসা করতে হচ্ছে বনের কচুর উপর? এই কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবেন জনজাতিদের বুবাগ্রা? প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ গিরিবাসীরা।