ডেস্ক রিপোর্টার, ২৪ ফেব্রুয়ারি।।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট শেষে গোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিমানি দেববর্মা বেশ কয়েকটি বুথে পুনঃ ভোটের দাবি করেছিলেন। হিমানি বলেছিলেন, গোলাঘাটি কেন্দ্রের কয়েকটি বুথে তাদের ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি।এমনকি দেওয়া যায় নি পোলিং এজেন্টও।এই বক্তব্য শুধু হিমানি দেববর্মার নয়। একই অভিযোগ করেছিলেন কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বিকাশ দেববর্মা। খবর অনুযায়ী,পাহাড়ের অনেক জায়গায় বিজেপির লোকজন ঢুকতেই পারেনি। এই অভিযোগ ছিলো বিজেপির। অভিযোগের তীর সরাসরি তিপ্রামথার দিকে।
বিজেপির নেতৃত্বের বক্তব্যের উপপাদ্য হলো ভোটের দিন তিপ্রামথার লোকজনের রক্ত চক্ষুতে পাহাড়ে তাদের একাংশ লোকজন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নি। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয়, তিপ্রামথা বামেদের কোনো সমস্যা করেনি কেন? তাহলে কি ভোটের আগের দিন মথার আক্রমণের কেন্দ্র বিন্দু ছিলো শুধুই বিজেপি। কেননা সিপিআইএমের পক্ষ থেকে ভোটের দিন মথার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের কোনো অভিযোগ করা হয়নি। বা ভোটের পরেও। তাহলে তিপ্রামথা ও সিপিআইএমের মধ্যে কি ছিল গোপন কোনো রাজনৈতিক ক্যামেষ্ট্রি?এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন রাজনীতিকরা।
পাহাড়ে বিজেপির দশ জন জনজাতি বিধায়ক। এডিসিতে রয়েছেন ১১জন এমডিসি। আছেন একজন জনজাতি সাংসদ।শক্তি নেহাৎ কম নয়। কাগজে কলমে এডিসির বিরোধী দল। তারপরও কি ভোটের ময়দানে তিপ্রামথার সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করার ক্ষমতা ছিল না বিজেপির? রাজনীতিকরা বলছেন, অনেকাংশেই বিজেপি আত্ম সমর্পন করেছে প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথার কাছে। নানান জায়গায় সংঘটিত ঘটনা থেকেই তা প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তারপরও তিপ্রামথার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ইস্যুতে বিজেপি কোনো জোরালো আওয়াজ করতে পারেনি।
ভোটের পরিবেশ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে রাজনীতিকরা বলছেন, পাহাড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তিপ্রামথার আগ্রাসী মনোভাব ছিলো। কিন্তু সিপিআইএমের পক্ষে ছিলো নরম মনোভাব।এই কারণেই সিপিআইএমের লোকজনকে তিপ্রামথা কোনো রকম আক্রমণ করেনি।তাদের ভোটারদের ভোট দানে বাধাও দেয়নি। বা বাধা দিলেও বিষয়টি চেপে রাখে সিপিআইএম। তাছাড়া সাব্রুম কেন্দ্রে জিতেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে মথা কোনো প্রার্থীই দেয় নি।
রাজনীতিকদের ভাষায়, সিপিআইএমের প্রতি নরম মনোভাবই প্রমাণ করে ভোটের ময়দানে বাম – মথার সম্পর্ক। তিপ্রামথার সঙ্গে গোপন রাজনৈতিক ক্যামেষ্ট্রির জন্যই পাহাড়ে বামেরা ছিলো সন্ত্রাস মুক্ত। বা বামেরা মথার সন্ত্রাসের মুখে পড়লেও তারা আগামীর কথা চিন্তা করে মুখে কুলুপ এঁটে রাখেছে।স্বাভাবিক ভাবে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে ভোট সন্ত্রাস সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে কোনো রকম অভিযোগ করা হয়নি। ভোট সন্ত্রাস নিয়ে মথার বিরুদ্ধে অভিযোগ, খোদ শাসক দল বিজেপিকে নিশ্চিত ভাবে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনীতিকরা। দিন যত গড়াচ্ছে, ততই অস্বস্তি বাড়ছে শাসকের।অন্তত পরিস্থিতি কিন্তু এমনই আভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।
