ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
ক্ষমতার স্বাদ বড় মধুর। একবার ক্ষমতার গন্ধ পেয়ে গেলে একাংশ রাজনৈতিক নেতা হিংস্র বাঘের মত হয়ে যায়। ক্ষমতা লাগবে যে কোনো মূল্যে। প্রয়োজনে শান্তি-সম্প্রতি নষ্ঠ করে লাশের রাজনীতিকে উস্কে দিতেও দ্বিধাবোধ করেন নি তারা। তার জ্বলন্ত প্রমান রাখলেন তিপ্রামথার হেভিওয়েট নেতা তথা এডিসি’র ডেপুটি সিইএম অনিমেষ দেববর্মা।. পাহাড়ের শাসক দল তিপ্রামথার অধিকাংশ নেতা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানান সময় বাঙালি বিদ্বেষী কথাবার্তা বলে থাকেন। মুখে বাঙালিদের ‘নাম’ উচ্চারণ করেই ছড়িয়ে দেন রাজনীতির বিষাক্ত লালা। তাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিলমোহর দিলেন তিপ্রামথার নেতা অনিমেষ।

তিপ্রামথাতে বাঙালি ভোটারদের যোগদান।

মথার নেতা অনিমেষ পাহাড়ের একটি জনসভায় সহজ-সরল উপজাতিদের উস্কে দেওয়ার জন্য বলেন, ” পাহাড়ি-বাঙালি ভাই-ভাই, সুযোগ পাইলে গলা কাইট্যালাইস, পাহাড়ি-বাঙালি কখনো ভাই-ভাই না।”…
অনিমেষ দেববর্মার এই বক্তব্য থেকে স্পস্ট হয়ে যায় বাঙালিদের সম্পর্কে তিপ্রামথার অবস্থান। আবার ভোটে জয়ের জন্য পাহাড়ের বাঙালি ভোট যে মথার দরকার তাও বিলক্ষণ বুঝতে পেয়েছে মথার নেতৃত্ব।তাই পাহাড়ের বাঙালি ভোটারদেরও দলে টেনে নিচ্ছে প্রদ্যুতের তিপ্রামথা।
একদিকে সাধারণ উপজাতিদের মধ্যে বাঙালি বিদ্বেষের বীজ বপন, আবার ভোটের স্বার্থে পাহাড়ে অবস্থারত বাঙালীদের আনারস বাগানে নিয়ে কাঁটার ঘাই দেওয়ার প্রস্তুতিই নিয়েছে মথার নেতৃত্ব।বলছেন রাজনীতিকরা।
অনিমেষ দেববর্মার এই জাতি বিদ্বেষী বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন রাজ্য বিজেপি’র সহ-সভাপতি তথা খোয়াই জেলার প্রভারী অমিত রক্ষিত। বিজেপি’র রাজ্য নেতা অমিত রক্ষিত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় “অনিমেষ দেববর্মার জাতি বিদ্বেষী বক্তব্যের একটি ভিডিও ক্লিপিং এবং মথার পতাকা হাতে বাঙালি লোকজনের একটি ছবি পোস্ট করেন।”

।সোশ্যাল মিডিয়াতে করা অমিত রক্ষিতের পোস্ট।

অমিত রক্ষিত সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেন,”
অনিমেষ বাবু ,যে বাঙালিরা মথাতে যোগদান করছেন সুযোগ পেলে তাদের মুণ্ডচ্ছেদ করবেন , আপনার এই ইচ্ছে সম্বন্ধে কি আপনার সুপ্রিমো ওয়াকিবহাল ?
নাকি আমাদেরই ফোন করে জানাতে হবে।”
অমিত রক্ষিত সটান অনিমেষ দেববর্মার উদ্দেশ্যে বলেছেন, মথাতে যোগদানকারী বাঙালিদের সুযোগ পেলে যেন তাদের মুণ্ডচ্ছেদ করে দেন। তবে অনিমেষের এই ইচ্ছের কথা কি মথার সুপ্রিমো জানেন? না, হলে ফোন করেই জেনে নেবেন।
রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষ অমিত রক্ষিতের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন।এবং খোদ উপজাতিদের বুদ্ধিজীবী মহলও অনিমেষ দেববর্মার বক্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। জাতি-জনজাতি উভয় অংশের মানুষের বক্তব্য, অনিমেষ দেববর্মার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রশাসনের ভূমিকা নেওয়া উচিত। নয়তো সাধারণ মানুষের মধ্যে আগামী দিনে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা চাগার দেবে বলেই মনে করছেন রাজনীতির বিশারদরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *