তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,২রা জানুয়ারি।।
বাঁচতে হলে খাদ্যের দরকার। খাদ্য জোগারের জন্য প্রয়োজন অর্থ।অর্থ উপার্জনের জন্য বেছে নিতে হয় পেশা। কখনো খুঁজতে হয় বিকল্প আয়ের উৎস।এটাই মানব জীবনের মূল লড়াইয়ের মানদণ্ড।
রাজ্যের জনজাতি মহল্লাগুলিতে বারবার শুনা যায় আর্থিক সংকটের কথা।তার জন্য অবশ্যই গিরিবাসীরা খুঁজে নেয় বিকল্প আয়ের উৎস। গিরিবাসীদের অনেকেই এখন বিকল্প আয়ের জন্য বেছে নিচ্ছে শিমুল তুলার চাষ। এমন চিত্র ফুটে উঠলো তেলিয়ামুড়ার প্রান্তিক অঞ্চল নোনাছড়া, কাকরাছড়া, বিলাইহাম এলাকায়।
সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলিতে রিয়াং সম্প্রদায়ের জনজাতির বসবাস। তাদের উপার্জনের মূল উৎস “জুম চাষ”। বছরের একটা মরশুম তারা করে জুম চাষ।কিন্তু জুম চাষ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তাদের সংসার চলে না।স্বাভাবিক ভাবেই বিকল্পের সন্ধানেই তারা হাত পাকিয়েছে শিমুল তুলা চাষে। নোনাছড়া এডিসি ভিলেজের হামপাইলা পাড়ার জনজাতি রমনী জাইনারুং রিয়াং শুরু করেছেন শিমুল তুলার চাষ।
জাইনারুং রিয়াং জানিয়েছেন,পিপরীক্ষা মূলক ভাবে তিনি শিমুল তুলা চাষ করেছেন।ফলনও হয়েছে ভালো।তাতে বেজায় খুশি এই জনজাতি রমণী। জাইনারুং রিয়াংয়ের বক্তব্য, যদি সরকারী ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পান তাহলে শিমুল তুলার চাষ বাণিজ্যিক ভাবে করতে পারবেন তিনি।এবং হতে পারবেন স্বাবলম্বী।
জাইনারুং রিয়াংয়ের কথায়, শিমূল তুলা চাষ হতে পারে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের এক অর্থকরী ফসল। এবং জনজাতি অংশের মানুষের বিকল্প অর্থ উপার্জনের একটি মাধ্যম।
