ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ ডিসেম্বর।।
২৩-র বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসক দল বিজেপি’র রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটিতে অল্প বিস্তর রদ বদল সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক। আবার নতুন ভাবে হতে পারে প্রমোশনও। কৃষ্ণনগর গেরুয়া বাড়ি থেকে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।
আগামী বছরের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের সব দিকে গুছিয়ে নিতে চাইছে বিজেপি। আপাদ মস্তক একটা শক্তিশালী দল হিসেবে বিরোধীদের টেক্কা দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির।দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের চিন্তা ভাবনা থেকে তা স্পস্ট।
রাজ্য বিজেপি’র অন্দর মহলের খবর অনুযায়ী, বিগত বছর খানেক ধরে দলের বেশ কিছু নেতা নানান কারণে “অফমুডে” ছিলেন। দলের কর্মসূচিতেও তাদের দেখা যায়নি।এই সমস্ত নেতাদের ফের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে দল। তাদের অন্যতম ডা:অশোক সিনহা। রাজ্য রাজনীতিতে তিনি পরিচিত নাম।২০১৭-তে অশোক সিনহা কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।এরপর থেকে দলের একজন প্রথম সারির নেতা হিসেবে কাজ করেছেন।দল ক্ষমতায় আসার পর তিনি ছিলেন প্রদেশ বিজেপি’র মুখ্য প্রবক্তা।কিন্তু গত বছর খানেক ধরে ডা:অশোক সিনহা একেবারে চলে গেছেন আড়ালে। অশোক সিনহা কেন হঠাৎ দূরে সরে গেলেন? এই প্রশ্নের ময়নাতদন্ত নিশ্চয় করেছেন দল পরিচালনার ভর কেন্দ্রে থাকা নেতৃত্ব।একই ভাবে দলের যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতারা একটু দূরে অবস্থান করেছেন তাদের প্রতিও নজর দিয়েছে দল।তাদেরকে আবার টেনে এনে গুরু দায়িত্ব সঁপে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
শহরের কৃষ্ণনগরস্থিত গেরুয়া বাড়ির খবর, পৌষ সংক্রান্তির রাতে রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় এক ম্যারাথন বৈঠক।এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ডা:মানিক সাহা, উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মন, রাজ্য বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায়, সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ও সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের সাংগঠনিক নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।খবর অনুযায়ী, ডা:অশোক সিনহাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সদর জেলার শহর ও গ্রামীন কমিটির সভাপতির পদ নিয়েও আলোচনাও হয়েছে।পরিবর্তন হতে পারে সদর জেলার শাহারাঞ্চল কমিটির সভাপতি অলক ভট্টাচার্য।তাঁর জায়গাতে আসতে পারেন কাউন্সিলার অলক রায় ও সদর জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য সুকান্ত ঘোষ।একই ভাবে সদর জেলার গ্রামীন কমিটির সভাপতি অসিত রায়কে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।তাঁর পরিবর্তে গ্রামীনের সভাপতি হতে পারেন গ্রামীনের যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি রাজীব ঘোষ।এই পদের জন্য দৌড়ে রয়েছেন সদর গ্রামীন জেলা কমিটির একজন সাধারণ সম্পাদক এবং বড়জলা মণ্ডল কমিটির সভাপতিও।এছাড়া অন্যান্য জেলা নেতৃত্বের রদ-বদলের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে হাই -প্রোফাইল ম্যারাথন বৈঠকে।তবে এখনো কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।সবই আলোচনা পর্যায়ে।মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে আলোচনার পরই আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঘোষণা দেওয়া হবে দলের পক্ষ থেকে।এমনই গুঞ্জন প্রদেশ বিজেপির সদর দপ্তরে।
