ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
       রাজধানীর নতুন নগর গুলি কান্ডের মূল কুশীলব রাজু বর্মন ও বিমান দাস প্রকাশ্যে  ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। বরং তাদের সঙ্গে গুছিয়ে “চোর পুলিশ” খেলা শুরু করেছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের আই- ওয়াশ করার জন্য পুলিশ অতিরিক্ত খাটা খাটুনি শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু পুলিশের এই চাটুকারিতা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে রাজু ও বিমান । নিন্দুকেরা বলছে, তারা আসবেই না কেন? তাদের পেছনে রাজ্যের গেরুয়া রাজনীতির চানক্য ও ডাক্তার স্যারের যে বিশ্বস্ত হাত রয়েছে।


বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা রাজু বর্মন ও বিমান দাস ঊষা বাজারে অবস্থান করে। তারা ঊষা বাজার চত্বরে এসেই সরাসরি চলে যায় ভারতরত্ন ক্লাবে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চুটিয়ে আড্ডা দেয়। এরপর তারা গাড়ি চেপে চলে যায়  ঊষা বাজারে। বেশ কিছুটা সময় বাজার চত্বরে গাড়ি নিয়ে চক্কর কাটে। এবং নিজেদের কালো মুখগুলিকে সাধারণ  মানুষকে দেখিয়ে দেয়। যেন সাধারণ মানুষ তাদের এই কালো মুখগুলিকে দেখে ভয়ে আতকে উঠে।আর তাতেই যেন সফল হবে গুলি কাণ্ডের দুই মাস্টারমাইন্ড রাজু বর্মন ও বিমান দাস। পাশাপাশি তাদের নিগো ব্যবসারও বৃদ্ধি ঘটবে।


নতুন নগর গুলি কাণ্ডের  পরপরই পুলিশ প্রভাকর ঘোষ ও সন্তোষ দাসকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে পুলিশি তদন্ত মন্থর হয়ে যায়। তদন্তকারী পুলিশ মৌখিকভাবে বলছে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তারা জাল বিস্তার করেছে। শীঘ্রই করা হবে গ্রেফতার।অবাক করার মতো বিষয় দিন দুপুরে রাজধানী পুলিশের তথাকথিত নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ “কারেন্ট জাল” ছিন্ন করে রাজু বিমানের মতো সমাজদ্রোহীরা চলে এসেছে ঊষাবাজারে। অথচ পুলিশ জানে না। এই ক্ষেত্রে বলতে হবে হয়তো বা রাজধানী পুলিশের নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল। বা পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে রাজু বিমানদের ছেড়ে দিয়েছে বিচরণ করার জন্য। শুধু কি তাই, এলাকার লোকমুখে শোনা যায়, বড়জলা এলাকার যুব মোর্চার এক সিকি নেতা পার্থ এখন সমাজদ্রোহী তোলাবাজ রাজু – বিমানের সঙ্গী। রাজু – বিমানদের সঙ্গে একই মঞ্চে উঠে “ফটো সেশান”ও করে।অভিযোগ, চাণক্যের দূত হিসাবে নিগো কারবারী(মানুষের কথায়,হাউজিং বোর্ড) পার্থ এখন রাজু – বিমানদের শাসক দলের বিভিন্ন নেতার দরজায় দরজায় নিয়ে যাচ্ছে। খবর বিজেপির রান্না ঘরের। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব নিগো মাফিয়া তথা যুব মোর্চার আধুলি নেতা পার্থকে পত্র পাঠ বিদায় করে দিয়েছেন। পার্থ দুই দাগি সমাজদ্রোহী রাজু – বিমানকে নিয়ে কখন  কোন নেতার বাড়িতে গিয়েছে,এই সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ রয়েছে “জনতার মশাল”র কাছে।

রাজু – বিমানের সঙ্গে এক মঞ্চে পার্থ। কিসের ইঙ্গিত?

ঊষা বাজার চত্বরে কান পাতলেই শোনা যায়, নতুন নগর গুলি কান্ডের কুশীলবদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে রেখেছেন শাসক দলের এক তাবড় নেতা।তিনি আবার  “চাণক্য” নামে পরিচিত। পূর্বের সদর উত্তর তথা মোহনপুরের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। ৭০ঊর্ধ্ব এই বৃদ্ধ নেতার এখনো টাকা রোজগারের ঝাঁঝ কমে নি। বরং তার টাকা রোজগারের পিপাসা বাড়ছে দিন দিন। তার সঙ্গে আছে  স্থানীয় নেতাবাবু ডাক্তার স্যার। বিজেপির নিষ্ঠাবান কর্মীদের বক্তব্য, গেরুয়া রাজনীতির তথাকথিত ধান্দাবাজ চানক্য এবং ডাক্তার স্যারের কার্যকলাপে বিষিয়ে উঠছে মানুষ। তারা ভাবছে রাজু – বিমানদের মত সমাজদ্রোহীদের আস্ফালন দেখিয়ে আবারও নিজেদের আধিপত্য কায়েম করবে। কিন্তু মানুষ ২৩র ভোটে চাণক্য এবং ডাক্তার স্যারের মতো নেতাদের ছুড়ে ফেলে দেবে।


তারা বিজেপির সিম্বলকে সামনে রেখে শুধুমাত্র কামাই-বাণিজ্য করে গেছেন বছরের পর বছর। আর অন্তরালে দলকে উইপোকার মতো খেয়ে দিয়েছে। এখন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মোহনপুর বড়জলার মতো কেন্দ্রগুলিতে সমাজদ্রোহীদের দিয়ে বোমা বিস্ফোরণ, বুলেটের আস্ফালন ও অপহরণের মতো ঘটনা সংঘটিত করছে।


তারা ভাবছে মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে  পুনরায় সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করবে। এই  কৌশল নিয়েই এগুচ্ছে তারা। রাজ্য রাজনীতির পোর খাওয়া ধান্দাবাজ, প্রতারক রাজনীতিক চাণক্য ও স্ত্রী রোগী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার স্যার এখন ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছে। এবং তারা চোখে দেখছে সরিষা ফুল।


তবে ২৩- র ভোটে তাদের ললাটে জুটবে তো “টিকিট”? এই প্রশ্ন বিজেপির অন্দরে। এলাকার আভাস চানক্য এবং ডাক্তার বাবুরা টিকিট পেলে আখেরে ক্ষতি হবে বিজেপির। বরং এলাকার মানুষ চাইছে বিজেপির নতুন মুখ।তাহলেই ভোট বাজারে বাজিমাত করবে শাসক শিবির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *