ডেস্ক রিপোর্টার,২৭জানুয়ারি।।
প্রজাতন্ত্র দিবসের পুণ্যলগ্নে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সংঘচালক মোহন ভাগবত রাজ্যের খয়েরপুরস্থিত সেবাধামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এদিন সকাল আটটায় সমস্ত করোনাবিধি মেনে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার পর মোহন ভাগবত প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য সকলের সামনে তুলে ধরেন।প্রজাতন্ত্র দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে গিয়ে তিনি ভারতের প্রাচীন গণরাজ্যিক পদ্ধতির উল্লেখ করেন।যেখানে প্রকৃত অর্থেই জনগণের রাজত্ব প্রতিফলিত হতো মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ব্যবহারের দ্বারা।বর্তমান প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেও সেই মর্যাদাপূর্ণ ব্যবহারের দ্বারাই পুষ্ট করতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গেই তিনি প্রাচীন গণরাজ্য হিসেবে বৈশালী,লিচ্ছবির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন,প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন একটি ভাবনা,যে ভাবের প্রকাশ হয় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে।
সংঘচালক মোহন ভাগবত বলেন, জাতীয় পতাকার উপরের যে গেরুয়া রঙ, সেই গেরুয়া রঙের আবহেই প্রাচীন ভারত থেকে নব ভারতের সংস্কৃতি রচিত হয়েছে যুগে যুগে। গেরুয়া রঙ ভারতের শাশ্বত পরিচয় যা অন্যদিকে ত্যাগ,শৌর্য বীর্যের প্রতীক। সাদা রঙ শান্তির বার্তাবাহক ,যে শান্তির বার্তা ভারতের আত্মজ। ভারত গোটা বিশ্বকে শান্তির বাঁধনে বাঁধার চেষ্টা করে আসছে যুগে যুগে।ভারত সবুজ বনানী তথা প্রকৃতিবান্ধব একটি দেশ।সবুজ প্রকৃতিকে শোষণ করে নয়,ভারতের ঐতিহ্য সবুজ বনানী রক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া প্রগতির পথে। তাই সবুজ রঙ মানে প্রগতি তথা মা লক্ষ্মীর প্রতীক। এগিয়ে যাওয়া মানে শুধু ব্যক্তিতান্ত্রিক নয়,সামগ্রিক। সেই সামগ্রিকতা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকলকে একত্রে নিয়ে চলা। এটাই ভারতের ধর্ম। ভারতের এই ধার্মিক মনোভাবই প্রকাশিত হয়েছে পতাকার মাঝখানের চক্রের মাধ্যমে।সমস্ত রঙের এই প্রতীকী ব্যবহার আমাদের জীবনের দ্বারা সংকল্পিত করে সারা ভারতবর্ষে প্রকৃত গণরাজ্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের সংকল্প।
