ডেস্ক রিপোর্টার,১১ডিসেম্বর।।
“প্রতি মাসে অরুন্ধতী নগর থানার ওসি সঞ্জিব লস্করকে এক লক্ষ টাকা প্রানামি দিয়ে থাকি।তাই গোটা প্রতাপগড়ে এই থানার অঞ্চলে চুটিয়ে করি নেশা কারবার।” বক্তা পশ্চিম প্রতাপগড়ের এলিট ক্লাসের নেশা কারবারী মাসুক মিয়া। অরুন্ধতী নগর থানার ওসি সঞ্জিব লস্করের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বুঝানোর জন্য মাসুক তার এলাকায় এই সংক্রান্ত কথা বলে ঘুরাফেরা করছে।এবং চুটিয়ে করছে নেশা কারবার। সাধারণ মানুষের চোখ এড়ানোর জন্য নিজেকে পাথর ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে মাসুক।
রাজধানীর পশ্চিম প্রতাপগড়ের প্রতাপ সংঘ এলাকার বাসিন্দা মাসুক মিয়া।তার নেশা কারবারের নেটওয়ার্ক বিস্তৃর ভিন দেশ ও ভিন রাজ্যে।মাসুক মিয়া রাজ্য থেকে গাঁজা পাচার করে ভিন রাজ্যে।একই ভাবে বাংলাদেশেও।আবার মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান নিয়ে আসে রাজ্যে।সঙ্গে হিরোইন, ব্রাউনসুগার।অর্থাৎ নেশা বাণিজ্যের আড়ত খুলে বসেছে মাসুক মিয়া। প্রকাশ্যে মাসুক নিজেকে পাথর ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচয় দিয়ে আসছে।
গোটা প্রতাপগড় এলাকায় নেশা সামগ্রী ছড়িয়ে দিচ্ছে মাসুক মিয়া।তার বেশ কয়েকজন এজেন্টও রয়েছে। মাসুক মিয়ার নেশা ব্যবসা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাজধানী পুলিশের একাংশ। নিরাপদে নেশা কারবার চালানোর জন্য মাসুক মিয়া অরুন্ধতী নগর থানার ওসি সঞ্জিব লস্কর সহ ক্রাইম ব্রাঞ্চের এএসপি মিহির দাস ও ডিএসপি সীমা আক্তারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকে মাসুক মিয়া।তারা তার নেশা ব্যবসার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে থাকে।স্থানীয় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকেও মাসুক মাসান্তে কাঞ্চনমূল্য দিয়ে থাকে। এলাকায় কান পাতলেই শুনা যায় এই সমস্ত খবর।মাসুক মিয়া নিজেই তার ঘনিষ্ঠ লোকজনকে পুলিশের তার সম্পর্কের কথা জানিয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।কিন্তু অরক্ষা প্রশাসনের অধিকারিকরাই নেশা কারবারীদের সঙ্গে জড়িত।এর আগেও এই রকম বহু প্রমান পাওয়া গিয়েছে।এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পুলিশের আস্করাতে দেদার চলছে মাসুক মিয়ার নেশা কারবার। তাই মাসুক মিয়া প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় ইন্সপেক্টর সঞ্জিব লস্কর,ডিএসপি সীমা আক্তার ও এএসপি মিহির দাসদের মাসান্তে মোটা অঙ্কের প্রানামি দিয়ে থাকে। প্রতাপগড় এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায় এই সংক্রান্ত তথ্য। তাহলে কেন নেশা কারবারী মাসুক মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না অরক্ষা দপ্তর?প্রশ্ন জনমনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *