গন্ডাছড়া ডেস্ক,১০মে।।
শুখা মরসুমের শুরুতেই অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমার ডম্বুরনগর এবং রইস্যাবাড়ি ব্লকের অন্তর্গত মোট সাঁতাশটি এডিসি ভিলেজেই বাড়ছে বিভিন্ন জলবাহিত রোগ।
স্থানীয়দের বক্তব্য, বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে ডোবা নালা সহ নর্দমার নোংরা জল পান করে জল বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে মানুষ। আক্রান্তদের অধিকাংশই গিরিবাসী। সংশ্লিষ্ট গিরিবাসীরা কুসংস্কারে বিশ্বাসী। তারা রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে পূজার্চনা করে। শুকর-হাঁস-মোরগ বলি দিয়ে ছড়া বা নদীর চরে পুজো দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করে জনজাতি অংশের মানুষ। ফলে সঠিক সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে ঢলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে।

জনজাতি অংশের সিংহভাগ মানুষের এই কুসংস্কার ভাঙতে বেশ কয়েক বছর আগে মহকুমার সবকয়টি এডিসি ভিলেজে গন্ডাছড়া মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তর স্থাপন করেছিল উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। শর্ত ছিল প্রতিটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সপ্তাহে তিনদিন চিকিৎকরা উপস্থিত থেকে রোগীদের চিকিৎসা করা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। সপ্তাহের বাকি তিনদিন এমপি ডব্লুরা চালাবেন।
অভিযোগ, বর্তমানে গন্ডাছড়া স্বাস্থ্য দপ্তর বাস্তুঘুঘু’র বাসায় পরিণত হয়েছে।মহকুমার সবকয়টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সম্পূর্ণ ভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এক একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এখন গোয়াল ঘরে পরিণত হয়েছে। মাসের পর মাস কেটে গেলেও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে না চিকিৎসক ,না এমপিডব্লু,কেউ পা মারান না।এর জ্বলন্ত প্রমান গন্ডাছড়া মহকুমার রামনগরের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীহীন রামনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

রামনগর বাজারের মাছঘাটে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির অবস্থান। কেন্দ্রটির নাম দেওয়া হয়েছে আয়ুষ্মান ভারত হেলথ এন্ড ওয়েলনেস সেন্টার। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীদের অভিযোগ প্রতি মাসের কুড়ি দিনই ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো স্বাস্থ্য কর্মী আসেন না। চিকিৎসক তো দুরস্থ এমপি ডব্লুওদের কালে ভদ্রে দেখা মেলা ভার।গোটা মহকুমার সবকয়টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই বেহাল দশার কারণে বহু রোগী উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে অকালেই মৃত্যুর পথে ধাবিত হচ্ছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *