ডেস্ক রিপোর্টার,৩রা জানুয়ারি।।
আগামী বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের বাজার ধরতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিশেষ একটা মহল। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ঠ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।অভিযোগ রাজ্যের সুশীল সমাজের।
রাজ্যের আম জনতার বক্তব্য, কোনো মানুষ বা রাজনৈতিক দল গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে “দাবি” আদায়ের জন্য আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু আন্দোলন কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দেওয়া কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
সম্প্রতি রাজ্যের উপজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দল তিপ্রামথা গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লির যন্তরমন্তরে আন্দোলন করছিলো। এই আন্দোলনস্থলে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন।তার আগেও প্রদ্যুত ত্রিপুরায় অবস্থানরত বাঙালিদের “অনুপ্রবেশকারী” হিসাবে আখ্যা দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে বিতরণের দাবি তুলেছিলেন। “প্রদ্যুত কিশোরের সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখলে এই রকম বহু ভিডিও ফুটেজ খুঁজে পাওয়া যাবে।” অভিযোগ, বিভিন্ন বাঙালি সংগঠনের নেতৃত্বের।
তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোরের জাতি বিদ্বেষী বক্তব্য নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় খবর প্রকাশিত হয়েছিলো। প্রকাশিত খরব নজরে আসে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী নৃপেন্দ্র কিশোর রায়ের। সম্প্রতি তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোরকে তাঁর “জাতি বিদ্বেষী” মন্তব্যের জন্য একটি উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন তিনি। প্রেরিত নোটিশে আইনজীবী নৃপেন্দ্র কিশোর রায় প্রদ্যুত কিশোরকে “জাতি বিদ্বেষী” মন্তব্য থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।অন্যথায় প্রদ্যুতের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করার কথাও জানিয়েছিলেন।

আইনজীবী নৃপেন্দ্র কিশোর রায়ের এই নোটিশের পর “ত্রিপুরী খোরাং” নামক একটি ইউ-টিউব চ্যানেলে এক যুবক নিজেকে প্রদ্যুত কিশোরের অনুগামী পরিচয় দিয়ে আইনজীবীকে হুমকি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইনজীবী নৃপেন্দ্র কিশোর রায় নিজেই একথা জানিয়েছেন।
নৃপেন্দ্র কিশোর রায়ের দাবি, প্রদ্যুত কিশোরের অনুগামী “ত্রিপুরী খোরাং” চ্যানেলে বসে তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন।এবং ত্রিপুরার আগুনে আঙুল নাড়তে নিষেধ করেন।এই যুবক জানতে চান আইনজীবী নৃপেন্দ্র কিশোর রায় ভারতীয় নাকি অনুপ্রবেশকারী?

“ত্রিপুরী খোরাং” চ্যানেলে প্রদ্যুত কিশোরের অনুগামীর বক্তব্যে পর আইনজীবী নৃপেন্দ্র কিশোর রায় পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, “সৎ সাহস থাকলে এই যুবক তার নাম-ঠিকানা দিক।তার বিরুদ্ধেও তিনি মামলা ঠুকবেন।”আইনজীবী দাবি করেন, ” এই দেশের মানুষকে রাষ্ট্র প্রেম শিখিয়েছে বাঙালীরা।দেশ স্বাধীন করতে এই অঞ্চলের জনজাতিদের কোনো ভূমিকা ছিলো না।সুতরাং বাঙালীদের বিদেশি বা অনুপ্রবেশকারী বলতে পারে না প্রদ্যুত ও তার অনুগামীরা।
বিডিও ফুটেজে দেখা যায় প্রদ্যুত কিশোরের অনুগামী এই যুবক সরাসরি “নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চ” নামে একটি সংগঠনের নাম করছে।এবং এই সংস্থার হয়েই আইনজীবী নৃপেন্দ্র কিশোর রায় কথা বলছেন বলেও প্রদ্যুত কিশোরের অনুগামীর দাবি।
বাস্তব অর্থে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যের পরিবেশ বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করছে জনজাতিদের একাংশ।তারা সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে নানান জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য করছে।এই ভাবে বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য চলতে থাকলে যে কোনো সময় রাজ্যের শান্তি-সম্প্রীতিতে ঘটতে পারে বড় ধরনের বিস্ফোরণ।এমনটাই বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *