ডেস্ক রিপোর্টার,১৭ফেব্রুয়ারি।।
বিজেপি ত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিপ্রামথার হয়ে ব্যাটন ধরেছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।দিল্লি থেকে রাজ্যে এসেই ভাষণের মাধ্যমে সুদীপ রায় বর্মন তিপ্রামথার সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।অর্থাৎ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও তিপ্রামথা জোট হয়ে লড়বে।সুদীপ রায় বর্মনের এই ইঙ্গিতের পর কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরাও হয়েছিলো বুস্টাপ।
কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের এই “ইঙ্গিতে” জল ঢেলে দিয়েছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন। প্রদ্যুত সংবাদ মাধ্যমকে সরাসরি বলেছেন, ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কোনো কথা হয়নি মথার।শুধু কংগ্রেস নয়, শাসক দল বিজেপি বা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেও এরকম কোন সমঝোতা হয়নি।তবে যে জাতীয় রাজনৈতিক দল সংবিধান অনুযায়ী তিপ্রামথার দাবি মেনে নেবে,তাদের সঙ্গেই জোট করবে। তবে এই জোট গোপনে নয়, জোট হবে প্রকাশ্যে।
জোট নিয়ে তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোরের “অপছন্দে”র বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিপাকে পড়ে যায় সুদীপ রায় বর্মন সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ প্রদ্যুত সরাসরি বলে দিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট নিয়ে মথার কোনো কথা হয়নি।আরও জোট হলে তা হবে প্রকাশ্যে এবং শর্ত সাপেক্ষে।
প্রদ্যুত-সুদীপের মাঝখানে প্রবেশ করেছে বিজেপি। শাসক দল বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন রাজনৈতিক বাজার ধারার জন্য কৌশলে তিপ্রার সঙ্গে কংগ্রেসের ভিত্তিহীন জোটের বিষয়টি তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। বিজেপি নেতৃত্ব বলেন, সুদীপ রায় বর্মন অতীতেও কংগ্রেসে থাকাকালীন একের পর এক নাটক মঞ্চস্থ করতেন। প্রতিটি বিধানসভা ভোটের আগেই “ক্ষমতায় এসে পড়ছে” বলে আগাম রাজনৈতিক মার্কেটিং শুরু করতেন।কিন্তু নির্বাচনের ফল বের হলে দেখা যেতো সবই অশ্বডিম্ব। ক্ষমতার ধারে-কাছেও আসতে পারেনি কংগ্রেস। অর্থাৎ সুদীপ রায় বর্মন সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্বের স্বপ্ন,স্বপ্নই থেকে যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আপাতত দৃষ্টিতে প্রদ্যুত কিশোরের বক্তব্যে সুদীপ ব্যাকফুটে চলে গেছেন ঠিকই।কিন্তু রাজনীতিতে “অসম্ভব” বলে কিছু নেই।পর্দার আড়ালে চলে অনেক খেলা। বাস্তব অর্থে প্রদ্যুত কিশোর প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই “ললিপপ”দেখিয়ে চলছেন।উপযুক্ত সময়েই উপযুক্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হাত ধরবেন প্রদ্যুত কিশোর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *