
ডেস্ক রিপোর্টার, ৪ডিসেম্বর।।
রবিবার রাতে।এদিন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ঘোষনা হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি তিন রাজ্যে বড় ম্যান্ডেড পেয়ে জয়ী হয়েছে। মানুষ দুই হাত ভড়ে ভোট দিয়েছে। গোটা দেশেই উল্লাস।বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও এর ব্যতিক্রম নয়।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের হলেও সত্যি, ভারতীয় জনতা পার্টির নাম ও রাজ্যের নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রীকে কালিমা লিপ্ত করতে বিজেপি নামধারী কিছু দুষ্কৃতী বিক্ষিপ্ত ভাবে হামলার ঘটনা সংগঠিত করছে। তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রাজধানীর রাম ঠাকুর সংঘ সংলগ্ন লাল মাইট্যার বিপনী বিতান। রবিবার রাতে একদল দুষ্কৃতী মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক লাগিয়ে লাল মাইট্যার রাম ঠাকুর টুর – ট্রাভেলস নামক একটি দোকানে হামলা করে।দোকানের মালিক বিশ্বজিৎ বনিক।ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন না। তার কয়েকজন বন্ধু ও কর্মচারী এই সময় দোকানে বসে টিভি দেখছিকেন। এমন সময় দুষ্কৃতীরা অতর্কিত হামলা করে। নির্বিচারে দোকানে ভাঙচুর চালায়। দোকানে লোকজনকে মারধর করে।

রামঠাকুর সংঘ লাগোয়া লাল মাইট্যা অঞ্চলটি রাজ্যের নিষ্কলুষ মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার নির্বাচনী ক্ষেত্র টাউন বড়দোয়ালীর অন্তর্ভুক্ত। রামঠাকুর টুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক বিশ্বজিত বণিক বর্তমানে একজন কংগ্রেস কর্মী। সে একসময় ছিলো বিজেপিতে।শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন বিজেপির দুর্দিনের কর্মী।২০১৬ সালে বিশ্বজিৎ বনিক রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নির্বাচনী ক্ষেত্র বনমালীপুর মণ্ডলের সদস্য ছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিশ্বজিত বিক্ষুব্ধ হয়ে যোগ দিয়েছিলো কংগ্রেসে। এখনো আছেন কংগ্রেসের পতাকা তলেই।

দোকানের মালিক বিশ্বজিৎ বনিক জানিয়েছেন,রাজনৈতিক প্রতি হিংসা থেকেই তার দোকানে বিজেপির লোকজনের আক্রমণ। এই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই অকুস্থলে ছুটে আসে মহারাজগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ।

নিয়ম মাফিক দোকানের মলিক পুলিশ ফাঁড়িতে একটি মামলা দায়ের করেন।তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশের তদন্তকারী দল। তবে এখন পর্যন্ত নেই কোনও গ্রেফতার।