ডেস্ক রিপোর্টার,১১অক্টোবর।।
প্রয়াত হলেন রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক তথা সিপিআইএম নেতা বিজন ধর।সোমবার ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিজন ধরে মৃত্যু হয়েছে।মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সহ এক মেয়েকে রেখে গেছেন।বিগত কিছুদিন ধরেই বিজন ধর অসুস্থ ছিলেন।
রাজ্যের বাম রাজনীতিতে বিজন ধরের দীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে।ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বিজন ধর যুক্ত হন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে। ১৯৬৯ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন।২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিজন ধর ছিলেন রাজ্য সিপিআইএম’র সম্পাদক।২০০০সালে তিনি সিপিআইএম’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন।২০১৮সালে তিনি রাজ্য বামফ্রন্ট কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে নিযুক্ত হন।রাজনৈতিক জীবনে বিজন ধর তার প্রতিটি কাজ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিন বিকালে বিজন ধরের কফিন বন্দি নিথর দেহ কলকাতা থেকে নিয়ে আসা হয়।বিমানবন্দর থেকে বিজন ধরের মরদেহ নিয়ে আসা হয় সিপিআইএম’র মেলারমাঠস্থিত সদর কার্যালয়ে।সেখানে দলের সমস্ত নেতা-কর্মীরা বিজন ধরকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। দলীয় কার্যালয় থেকে বিজন ধরের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাধারঘাটস্থিত বাড়িতে।শেষে নিয়ে আসা হয় বটতলা মহাশ্মশানে।এবং পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায় বিজন ধরের দেহ।
কমিউনিস্ট নেতা বিজন ধরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।সিপিআইএম’র রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। বাম নেতা গৌতম দাসের পর বিজন ধরের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া লক্ষ্য করা যায় সিপিআইএম’র নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। পর পর দুই বরিষ্ঠ নেতার মৃত্যুতে রাজ্য বাম রাজনীতিতে যে এক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে প্রয়াত দুই নেতা গৌতম দাস ও বিজন ধরের অভাব অনুভব করবে সিপিআইএম।বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
