ডেস্ক রিপোর্টার, ২০ডিসেম্বর।।
                   রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্লোগান তেজি হয়েছিল গোটা রাজ্যে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নেশা বাণিজ্যকে গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশকে দিয়েছিলেন ফ্রী হ্যান্ড। হয়েছিল ধরপাকর। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। নেশা কারবারের আতুর ঘরে কিঞ্চিৎ আঘাত লাগলেও তাতে টলেনি মাদক কারবারীরা।
          বিপ্লব কুমার দেবের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন ডা: মানিক সাহা। তিনিও নেশা কারবারীদের শক্ত হাতে দমন করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, কোথায়? রাজ্যের সবকটি জেলাতেই নিয়ম করে চলছে নেশা বানিজ্য। বন দপ্তরের টিলা ও লুঙ্গা ভূমিগুলি চলে গাঁজা চাষীদের হাতে। বাম জামানার এই অর্থকরী ফসল গাঁজার চাহিদা এখন কয়েকগুণ বেশি। পুলিশ গাঁজা গাছ ধংস করার জন্য বিভিন্ন দিকে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ গাঁজা চাষীদের ভয়ে অভিযানের ময়দান থেকে পালিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ পরাজয় হয়েছে রাষ্ট্র শক্তির।তাহলে মনতে হবে গাঁজা কারবারীদের কাছে নত স্বীকার করেছে রাষ্ট্রবাদী সরকারের পুলিশ। কেন এমন হবে? কি আছে অন্তরালে?


মাদক সাম্রাজ্যের খবর, অধিকাংশ থানা – পুলিশ গাঁজা চাষীদের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন কাঞ্চনমূল্য। প্রতি চারা গাছে ২০টাকা। মাসের নির্দিষ্ট সময়ে থানায় প্রনামি না পৌঁছলেও পুলিশ সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়ে গাঁজা ক্ষেতে। এটা মানতে পারেনি চাষীরা।স্বাভাবিক ভাবেই তারাও পুলিশকে পাল্টা হামলা করার প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হয়। তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত কলমচৌড়া থানা।সম্প্রতি দক্ষিণ কলমচৌড়াতে গাঁজা ক্ষেতে অভিযান চালাতে গিয়েছিল থানাদার প্রশান্ত দে। শেষ পর্যন্ত গাঁজা চাষীদের ভয়ে ওসি প্রশান্ত তার লোক লস্কর নিয়ে ফিরে আসেন।একই ঘটনা ঘটে সিধাই থানা এলাকায়। পুলিশ অভিযান করতে গিয়ে প্রান ভয়ে ফিরে আসে। এরকম বহু দৃষ্টান্ত আছে গোটা রাজ্যে।


পরিষ্কার করে বললে, দিন যত গড়াচ্ছে রাজ্যের মাদক কারবারীরা ফিরে এসেছে নিজস্ব ছন্দে। তারা এখন বেপরোয়া। একেবারেই ফিকে হয়ে উঠেছে নেশা বিরোধী স্লোগান। গোটা ঘটনার অন্তরালে শাসক দলের এক শ্রেণীর স্বার্থনেশি নেতারাও রয়েছে। এই কারণেই মাদক কারবারিরা নেতাদের অভয় পেয়ে পুলিশকেও হামলা করতে দ্বিধা বোধ করছে না। তার সঙ্গে অতিরিক্ত হিসাবে রয়েছে গাঁজা চাষীদের কাছ থেকে পুলিশের কাঞ্চনমূল্য আদায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *