ডেস্ক রিপোর্টার, ১সেপ্টেম্বর।।
বক্সনগর উপভোটের প্রাক লগ্নে কংগ্রেসের পর বড়সর ধাক্কা খেল সিপিআইএম। বক্সনগর কেন্দ্রের কমিউনিস্ট নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক শহীদ চৌধুরীর ভাই ফারুক চৌধুরী সিপিএমকে আলবিদা জানিয়ে দিলেন। তিনি যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। বুধবার বক্সনগরে অনুষ্ঠিত এক যোগদান সভায় ফারুক চৌধুরী ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা তলে সামিল হয়েছেন।
একই সঙ্গে তিনি নিয়ে এসেছেন ৪০ জন বাম ভোটারকে। তারাও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ফারুক চৌধুরী ও তার অনুগামীদের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন।উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি নবদল বনিক ও বিজেপি নেতা সুবল ভৌমিক।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সহীদ চৌধুরীর ভাই ফারুক চৌধুরী বিজেপিতে যোগ দিয়ে স্থানীয় শাসকদলের প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। ফারুক যুক্তি দেখিয়েছেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার আরো সাড়ে চার বছর থাকবে।এই সময়ে বক্সনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থীকে বিধানসভায় না পাঠালে ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষের। থমকে যাবে উন্নয়ন।তাই বক্সনগরের উন্নয়নের স্বার্থে তফাজ্জলকে ভোট দেওয়ার জন্য সমস্ত অংশের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
রাজনীতিকরা বলছেন, ভোটের মুখে ফারুক চৌধুরীর বিজেপিতে যোগদান নিঃসন্দেহে বামেদের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। এর প্রভাব পড়বে অন্যান্য বাম ভোটারদের মধ্যেও। কারণ সহীদ চৌধুরী বক্সনগর থেকে বামেদের টিকিটে সবচেয়ে বেশি বার জয়ী হয়েছেন। অর্থাৎ বলা চলে সহীদ চৌধুরী বক্সনগর কেন্দ্রের কিংবদন্তী নেতা।
এখন তার ভাই ফারুক বিজেপিতে চলে আসাতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। তাদের মানসিকভাবে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এটা অবশ্যই ভোটের প্রাক লগ্নে বিজেপির জন্য ট্রাম কার্ড।
ফারুককে বিজেপিতে আনার ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি অবদান শাসকদলের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেনের। রাজনৈতিকভাবে এটা তোফাজ্জলের মাস্টার স্ট্রোক বলা যায়। এর আগে বিজেপি ধাক্কা দিয়েছিল কংগ্রেস শিবিরে। বক্সনগর কেন্দ্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা বিল্লাল মিয়া যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। বিল্লাল ও ফারুক পরপর ভারতীয় জনতা পার্টিতে শামিল হওয়ার কারণে ভোটের আগেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে সিপিআইএম।
তাদের পক্ষে উপনির্বাচনে মাথা তুলে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এবং বক্সনগর রাজনীতিতে অপেক্ষা করছে ভারতীয় জনতা পার্টির সূর্য উদয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ বলছেন রাজনীতিকরা।