ডেস্ক রিপোর্টার,১৯জানুয়ারি।।
সদ্য সমাপ্ত আগরতলা পুর ভোটে ২৩শতাংশ ভোট পেয়ে তর্জন-গর্জন শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ক্ষমতা দখলের।তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে এসে গলা উঁচিয়ে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে।
ব্যাস, এই টুকুই।তারপর হঠাৎ করে চুপসে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ফাসুন। প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দর মহলের খবর অনুযায়ী, বঙ্গ নেতৃত্বের উদাসীনতায় এখন হতাশার প্রহর গুনছে দলের নেতা-কর্মীরা।গোটা দল এখন থমকে গেছে। মহকুমাগুলিতে কিছু নেতা-কর্মী তাদের সাংগঠনিক কার্যকলাপ চালিয়ে গেলেও বঙ্গ নেতৃত্ব কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছে না।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, গত কিছুদিন ধরে দলের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নেতা-কর্মীরা বঙ্গ নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগলে দিচ্ছেন।একই অবস্থা দলের স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সারির নেতাদেরও। একটা দল ক্ষমতায় আসার জন্য যে ধরণের কর্মসূচি দরকার তার ছিঁটে ফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না। অনেক স্থানীয় নেতা-কর্মী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, তারা দলের মধ্যে এক দম বন্ধকর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।আগামী কিছুদিনের মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্ব দলকে সঠিক ভাবে পরিচালিত না করলে, তারা বিকল্প চিন্তা ভাবনা শুরু করবে।এই মুহূর্তে দলের একাংশ কর্মী চেয়ে আছেন বিজেপি’র বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের দিকে। সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেসে যোগ দেবেন বলেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেসে যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ নেতা-কর্মী ফের ঝুঁকে যাবেন কংগ্রেসের দিকে।এটা বাস্তবায়িত হলে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস তার সত্তর শতাংশ শক্তি হ্রাস পেয়ে যাবে।এরফলে বাদবাকি শক্তি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে বিশেষ কিছু করার থাকবে না।
রাজনীতিকরা বলছেন, খুব শীঘ্রই রাজ্য রাজনীতিতে ফের ভ্যানিশ হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে।অর্থাৎ প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগ্য আকাশে ঘনিয়ে আসছে ঘোর কালো মেঘ,বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
