
ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ এপ্রিল।।
২৪- র আগে ফের প্রদেশ বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল।টক্কর শুরু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।বর্তমানকে ঘুমে রেখে প্রাক্তনের “সাংসদ স্বাস্থ্য শিবির”।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সভায় সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের তিন জায়গাতে স্বাস্থ্য শিবির করার উদ্যোগ নিয়েছেন।শুক্রবার থেকেই শুরু সাংসদ স্বাস্থ্য শিবির। মোহনপুর, খোয়াই ও শান্তির বাজারে হবে স্বাস্থ্য শিবির। শুক্রবার প্রথম স্বাস্থ্য শিবির হবে মোহনপুরে, ২৯এপ্রিল খোয়াইয়ে হবে দ্বিতীয় স্বাস্থ্য শিবির। এবং ৩০এপ্রিল হবে তৃতীয় সাংসদ স্বাস্থ্য শিবির।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব সাংসদ স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছেন। এটা অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু সাংসদ বিপ্লব কুমার দেবের এই স্বাস্থ্য সম্বলিত সামাজিক কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা ব্রাত্য থাকবেন কেন? প্রশ্ন তুলছেন খোদ বিজেপির নেতা – কর্মীরা।

বিপ্লব কুমার দেবের সাংসদ স্বাস্থ্য শিবিরের পোস্টারেও স্থান পান নি মুখ্যমন্ত্রী।পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব ও রাজ্যের মন্ত্রী রতন লাল নাথের ছবিও পোস্টারে শোভা বর্ধন করছে।কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেখানে নেই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি।

রাজনীতিকরা বলছেন, এই পোষ্টারের মাধ্যমে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে চলতে থাকা সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। তার জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকেই দায়ী করছেন বিজেপির কর্মীরা।কারণ সাংসদ স্বাস্থ্য শিবিরের পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ছবি থাকা আবশ্যক ছিলো। কিন্তু পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার ছবি না রেখে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন খোদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, দীর্ঘ দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ফের রাজ্য রাজনীতিতে ফিরে আসতে চাইছেন।কিন্তু এটা সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিপ্লব দেবকে ব্যস্ত রাখছেন রাজ্যের বাইরে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়ে। ধীরে ধীরে বিপ্লব কুমার দেব রাজ্য রাজনীতিতে ফিকে হয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যে কমেছে তার রাজনৈতিক কর্মসূচিও।

রাজনীতিকদের বক্তব্য, বিপ্লব কুমার দেব রাজ্য রাজনীতিতে নিজের অবস্থান ধরে রাখতেই তিনি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করেছেন।

তবে এটা করতে গিয়ে প্রদেশ বিজেপির মধ্যে থাকা ফাটল জন সন্মুখে চলে এসেছে। এতে বিজেপিকে তীরে বিদ্ধ করার রাস্তাও খুঁজে পেয়ে গেছে বিরোধী শিবির।
