ডেস্ক রিপোর্টার,১৫ফেব্রুয়ারি।।
রাত পোহালেই ২৩- র মহারণ। প্রস্তুতি তুঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। ভোটকে সুষ্ঠ ভাবে সম্পনন করতে কোনো খামতি রাখে নি নির্বাচন কমিশন।কোন রাজনৈতিক দল কোন মেরুতে আছে, তাও এখন স্পস্ট। রাজ্যের শাসক জোট বিজেপি – আইপিএফটি লড়বে এক মেরুতে। এডিসির শাসক দল তিপ্রামথা একাই আছে।।নতুন ভাবে সংসার করেছে কংগ্রেস – সিপিআইএম।করেছে জোট। লড়বে হাতে হাত ধরে। অপ্রাসঙ্গিক তৃণমূল নিজেদের প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টায় ব্যস্ত। কিন্তু তাতে লাভ হবে না। ভোটের যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফিরতে হবে খালি হাতে।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের এই চিত্র থেকে স্পষ্ট মূলত লড়াই হবে চতুর্মুখী। লড়াইয়ের ময়দানে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। বিনা যুদ্ধে ছাড়বে না জমি।আর এক্ষেত্রে ভোটের বীজ গণিত – পাটি গণিতের হিসাবে মুহূর্তেই পাল্টে যেতে পারে বহু হিসেব নিকেষ। ভোটের খেলায় পতন হতে পারে বহু রথী – মহা রথীর। ধতব্যের বাইরে থাকা প্রার্থীরা কুপোকাত করে দিতে পারে রাজনীতির হস্তীদের। সমতল – পাহাড় উভয় ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা প্রবল।
রাজনীতিকরা বলছেন, ২৩ – বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির জয় পরাজয় হবে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি। এই লড়াইয়ের চক্রবুহ্যে ঘটবে বহু উত্থান পতন। উঠে আসবে অনেক আনকোরা মুখ। আবার বৃত্তের বাইরেও চলে যাবে অনেকে। এই হিসেব কষেই চলবে রাজনীতির অঙ্ক।
অংকের এই জটিল হিসেবের অন্যতম কারণ বাম কংগ্রেস জোট।রাজ্য রাজনীতিতে এই জোট সফল হবে, না ব্যর্থ হবে, তা এই মুহুর্তেই হলফ করে বলা যাবে না। এক সময় বাংলাতে কংগ্রেস – সিপিআইএম জোট হয়ে লড়াই করেছিলো। ভোটের বাজারে সুবিধা করতে পারে নি। এই কারণেই বাংলার এই মডেলকে নিয়ে শাসক গোষ্ঠী কটূক্তি করছে।কিন্তু বাংলার বাম- কংগ্রেস জোট মডেল যে দেশীয় রাজনীতিতে নতুন দিশা দেখাবে না তাও কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। বাংলাতে পরাস্ত হয়েছে বলে, ত্রিপুরাতেও পরাস্ত হবে তা বলার কোনো সুযোগ নেই।
২৩- এ ত্রিপুরার নির্বাচনের সঙ্গে বাংলার শেষ নির্বাচনের তুলনা করলে হবে না।কারণ বাংলার শাসক ও বিরোধী জোটের সঙ্গে ত্রিপুরার শাসক ও বিরোধী জোটের অনেক রাজনৈতিক পার্থক্য রয়েছে। পরিবেশ – পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।এই কারণেই বাংলা মডেলকে ত্রিপুরায় হেলাফেলা করা যাবেনা। ত্রিপুরার রাজনীতিতে এই মডেল যেকোনো সময় রাজনীতির চিরা চরিত ব্যারিকেড ভেঙ্গে দিয়ে তৈরি করতে পারে নতুন ইতিহাস। রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এই ধারণায় উপনীত হয়েছেন রাজনীতিকরা।
