ডেস্ক রিপোর্টার, ৮মার্চ।।
            “একে বারে মেঘ না  চাইতেই যেন বৃষ্টি”। ঝর ঝর করে পড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে প্রায় নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কমিউনিষ্টদের মাথায়। বিনা শ্রমেই তারা হাতে পেয়ে যাচ্ছে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলের তকমা!ঘুরিয়ে বললে, বাংলা নতুন বছরের প্রাক লগ্নে বামেরা পাচ্ছে নতুন গিফট। রাজ্য রাজনীতির নতুন সমীকরণে বামেদের কাছে এই সুযোগের দরজা যে শীঘ্রই উন্মুক্ত হচ্ছে এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
        রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথা শাসক দল বিজেপির সঙ্গে সরকারে যোগ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার  সেই মাহেন্দ্রক্ষনের সাক্ষী থাকলো রাজ্যের মানুষ। এখন রাজ্য বিধানসভায় তিপ্রামথা তাদের ললাট থেকে বিরোধী দলের স্টিকার মুছে দিয়েছে।


সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, তিপ্রামথা সরকারে যোগ দেওয়াতে তারা হারিয়েছে বিরোধী দলের স্বীকৃতি । এখন কে হবে রাজ্য বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল? নিয়ম বলছে, সরকার বিরোধী দলগুলির মধ্যে বিধানসভায় যে দলের আসন সংখ্যা বেশি থাকবে,সেই দলটিই হবে প্রধান বিরোধী দল। রাজ্য বিধানসভার পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, আসন সংখ্যার নিরিখে  রাজ্য বিধানসভার তৃতীয় দল সিপিআইএম।বর্তমান বিরোধী দল তিপ্রামথা ১৩টি আসন নিয়ে সরকারে যোগ দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সিপিআইএম হবে বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল।তাদের মোট আসন সংখ্যা ১০। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক দলকে বিধানসভায় বিরোধী দলের তকমা পেতে হলে মোট আসন সংখ্যার ১০ শতাংশ আসন পেতে হবে। অঙ্কের এই  সংখ্যাও রয়েছে বামেদের ঝুলিতে।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের কমিউনিস্টরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তারা পুনরায় বিধানসভায় বিরোধী দলের স্বীকৃতি পাবে ।২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল ছিলো সিপিআইএম। ২৩- র নির্বাচনে তিপ্রামথার ঝড়ে খড় কুটোর মতো উড়ে গিয়ে তৃতীয় স্থানে বসেছিলো কমিউনিষ্টরা। বর্তমান বিধানসভায় তাদের বিরোধী দল হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিলো না। কিন্তু ভাগ্য বলে কথা। তিপ্রামথা সরকারে চলে গিয়েছে। এখন বামেদের সামনে উন্মুক্ত দরজা। তাই বিনা পরিশ্রমেই খোলে গেলো বামেদের  কপাল আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই বিধানসভার বিরোধী দলের স্বীকৃতি ” উপহার” পেতে চলছে রাজ্য রাজনীতির ময়দানে  ঘাড় ফেলে দেওয়া কমিউনিস্টরা। তারপর কি গা ঝারা দিয়ে মেলারমাঠ নেতৃত্ব নামবে রাজনীতির মাঠে – ঘাটে? না,কি বসে থাকবে মন্থ হয়েই।বলবে সময়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *