
ডেস্ক রিপোর্টার,২০ ফেব্রুয়ারি।।
নিরাপত্তাহীন বাধারঘাট বিধানসভা। রাতের আধারে বাড়ছে রাজনৈতিক দুষ্কৃতীদের আস্ফালন। বিরোধী দলের নেতা – কর্মীদের উপর প্রতিদিন চলছে নির্যাতন। তবে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না খোদ শাসক দলের নেতা – কর্মীরাও। সোমবার রাতেও দুষ্কৃতিরা হামলার ঘটনা সংঘটিত করেছে শহরের বাধারঘাটের মাতৃপল্লী এলাকায়। বাড়ির মালিকের নাম শ্যামল রায়। তিনি সিপিআইএম- র এডি নগর অঞ্চল কমিটির সম্পাদক। “২০১৮- র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই সিপিআইএম নেতা শ্যামল রায়ের বাড়িতে ধারাবাহিক ভাবে হামলা সংঘটিত হয়েছে। করা হয়েছে ভাঙচুর। সম্প্রতি সরস্বতী পুজোর সময়ও শ্যামল রায়ের বাড়িতে হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা সর্বশেষে সোমবার গভীর রাতেও ফের দুষ্কৃতীদের কু- নজরে পড়েছিলো সিপিআইএম নেতা শ্যামল রায়ের বাড়ি।জানিয়েছেন তিনি।

বাম নেতা শ্যামল রায়ের বক্তব্য, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা বারবার বলছেন সন্ত্রাস হবে না।সতর্ক আছে পুলিশ।দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু কোথায়? দুষ্কৃতীরা ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করলেও প্রশাসন নিশ্চুপ।”

রাজনীতিকরা বলছেন, বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। বিরোধী দল কেন, খোদ শাসক দলের নিষ্ঠাবান কর্মীরা আছেন সঙ্কটে। হারিয়ে গিয়েছে তাদের বাক শক্তিও।কারণ বাধারঘাট বিজেপিতে এখন জমির দস্যু, নিগোসিয়েশন কারবারী, নেশা কারবারী আদম কারবারীদের বাড়বাড়ন্ত।বাধারঘাট মণ্ডল কমিটির সদস্যদের মধ্যেই রয়েছে মাদক কারবারীরা। যারা আগরতলা রেল স্টেশনকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারের রমরমা নেশা সামগ্রীর ঢালি সাজিয়ে বসেছে।

অভিযোগ, সব কিছু জেনেও না জানার ভান করে আছেন স্থানীয় বিধায়িকা মীনা সরকার। বিজেপির কর্মীরা বলছেন, মীনা সরকারের চলন বলন একেবারে সাদামাটা। এটা ঠিক। কিন্তু তিনি যেন ভাজা মাছ উলটে খেতে পারে না। আসলে তিনিই নাকি সমস্ত “নাটের গুরু মা”! অভিযোগ বিজেপির নিষ্ঠাবান কর্মীদের।তাই বাধারঘাটের রাজনীতিতে এখন জমিদস্যু, নিগোসিয়েশন কারবারী, নেশা কারবারীরাই হয়ে উঠেছে বিধায়িকা মীনা সরকারের খাস লোক।