
ডেস্ক রিপোর্টার ২৪নভেম্বর।।
১৮- র ২৩- এও ক্ষমতায় ফিরতে ব্যর্থ কমিউনিষ্টরা। অবশ্যই পরাজয়ের দায় ভার বর্তেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি। পর পর বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হলেও কোনো অংশেই নেতাদের কর্তৃত্ব কমছে না। বরং কর্মীদের উপর দিনের পর দিন নেতাদের কর্তৃত্ব বাড়ছে। তাদের লিডারসিপ মনোভাব এখন আর মেনে নিতে পড়ছে না দলের যুব ব্রিগেড। এটা প্রমাণ করে দিয়েছেন সিপিআইএমের জয়নগর – মেলারমাঠ অঞ্চল কমিটির ডিওয়াইএফের অন্যতম নেতা বিজয় চক্রবর্ত্তী।বুধবার তিনি অঞ্চল কমিটির সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এবং নেতাদের প্রতি উগলে দিয়েছেন এক রাশ ক্ষোভ। এর আগেই বাম যুব নেতা বিজয় চক্রবর্ত্তী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতৃত্বের প্রতি তার অনাস্থা বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।

বিজয় তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান কমিউনিস্ট নেতারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে উদাসীন। বরং তারা কর্মীদের উপর কৃতিত্ব খাটাতে ভালোবাসেন। নেতৃত্বের প্রতি যুব নেতা বিজয়ের এই ক্ষোভ একেবারেই বাস্তব। রাজ্য রাজনীতিতে কমিউনিষ্টদের মাটি যে একেবারেই আলগা হয়ে গিয়েছে, তা এখনো মানতে রাজী নয় মেলারমাঠ নেতৃত্ব। কিন্তু দলের যুব ব্রিগেড সহ বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতা – কর্মীরা বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে বুঝে গিয়েছেন আগামী দিনে ঘোর অমাবস্যায় ধাবিত হচ্ছে কমিউনিস্টরা।

বাম যুব ব্রিগেডের খবর, শুধু বিজয় নয়, সাড়া রাজ্যে এরকম বহু বিজয় রয়েছেন, যারা আর মানিক – জিতেনের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না।তারা এখন বিকল্পের সন্ধান করছেন। জয়নগর অঞ্চলের যুব নেতা বিজয় নিজেও তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পষ্ট করেই লিখে দিয়েছেন, প্রয়োজনে রাস্তা বদল করবে। কিন্তূ উদ্দেশ্য থেকে সরবে না।”

রাজনীতিকরা বলছেন, বিজয় তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে, তিনি প্রয়োজনে উদ্দেশ্য ঠিক রাখতে দলও ছাড়তে পারেন। বাম যুব ফ্রন্টের একটা বড় অংশ এখন হতাশায় ভোগছেন। তার কারণ শীর্ষ নেতৃত্বের দল ও কর্মীদের প্রতি তাদের দায়িত্ব জ্ঞান হীন মনোভাব।

রাজ্য কমিউনিষ্ট- র সংসারে এই পরিস্থিতি ক্রমশঃ তীব্র হচ্ছে।জেলায় জেলায় একই অবস্থা। এখনও কমিউনিস্ট রাজনীতিতে তাবেদারী চলছে বৃদ্ধ তন্ত্রের। যুবরা এখনও বৃদ্ধতন্ত্রকে ভেদ করে সামনের সারিতে আসতে পারছেন না। বৃদ্ধ তন্ত্রের এক গুয়েমি সিদ্ধান্ত গুলি তাদের মেনে নিতে হচ্ছে। আর কমিউনিস্ট রাজনীতির বৃদ্ধ তন্ত্রের ফেরিওয়ালারা আন্দোলন বিমুখ হয়ে মেলারমাঠের লাল বাড়ির আরাম কেদেরায় বসে পুনরায় ক্ষমতায় আসার দিবা স্বপ্ন দেখছেন।

লাল বাড়ীর কর্তাদের এই ভূঁইফোড় স্বপ্ন যে কোনো দিন সাকার হবে না, তা বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন দলের যুব ব্রিগেডের নেতা – কর্মীরা।