বিচারক হেনস্তা মামলা।
তাপস দত্ত সহ তিন বাম নেতার কারাবাস।

ডেস্ক রিপোর্টার,১০ডিসেম্বর।।
ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে বিচারককে হেনস্থা করার অভিযোগে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন তিন দুর্দন্ড প্রতাপ বামপন্থী নেতা।তারা হলেন বিলোনিয়া সিপিআইএম বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত, সিপিআইএম নেতা ত্রিলোকেশ সিনহা ও দলের কৃষক নেতা বাবুল দেবনাথ। বৃহস্পতিবার বিলোনিয়া বৃহস্পতিবার বিলোনিয়া জেলা ও দায়রা বিচারক তিন বাম নেতার কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনা ২০১৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর। এদিন ছিলো পাঁচটি বামপন্থী সংগঠনের ডাকে ভারত বনধ। বামেদের ডাকা বনধ সফল করার জন্য গোটা বিলোনিয়া জুড়ে সন্ত্রাস শুরু করেছিলেন
বিলোনিয়া সিপিআইএম বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত, সিপিআইএম নেতা ত্রিলোকেশ সিনহা ও দলের কৃষক নেতা বাবুল দেবনাথ। তাদের নেতৃত্বে লাল সন্ত্রাসে গোটা বিলোনিয়াতে জুবুথুবু হয়ে উঠে।অভিযোগে এদিন বামপন্থী নেতাদের নেতৃত্বে বিলোনিয়াতে ব্যাপক ভাবে দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। তাদের সন্ত্রাস থেকে বাদ যায়নি সরকারি অফিস-আদালতও। ক্ষমতার অহংকারে বলিয়মান কমিউনিস্ট নেতা তাপস দত্ত, ত্রিলোকেশ সিনহা ও বাবুল দেবনাথরা বনধ সফল করতে প্রবেশ করেন আদালত চত্বরে।তারা সরাসারি চলে যান তৎকালীন দক্ষিণ জেলার জেলা ও দায়রা বিচারক রুহিদাস পালের চেম্বারে। চাম্বরের ভিতরে বিচারককে হেনস্থা করে তিন বাম নেতা।
এই ঘটনার পর বিচারক রুহিদাস পাল বিলোনিয়া থানায় তিন বাম নেতা তাপস দত্ত,ত্রিলোকেশ সিনহা ও বাবুল দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা(১১৩/২০১৫)দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন বিলোনিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর শঙ্কর সাহা। অনুসন্ধানকারী অফিসার মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা করেন। টানা ছয় বছর ধরে আদালতে মামলার শুনানি হয়। এই মামলায় আদালতে মোট ২২জনের স্বাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করে। আদালত বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব শুনার পর বৃহস্পতিবার এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এদিন বিলোনিয়ার প্রথম শ্রেণীর বিচার বিভাগীয় আদালতের বিচারক মিত্রা দাস তিন বাম নেতাকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সিপিএমের বিলোনিয়া বিভাগীয় সম্পাদক তাপস দত্ত, ত্রিলোকেশ সিনহা ও বাবুল দেবনাথকে ৪৪৭ ধারায় দু’মাসের জেল এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।এছাড়া ৩৫৩ধারায় তাদেরকে দু’বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।