ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
           ডা.দিলীপ দাস।তিনি বড়জলা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক।২৩- র নির্বাচনে সুপার ফ্লপ করেছেন।দিলীপের ভুলের কারণে বড়জলা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে সিপিআইএম।বলছে খোদ বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
   ২৩- র নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ডা.দিলীপ দাস কি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন?নাকি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আর আস্থা রাখতে পারছেন না? ডা: দিলীপ দাসের এই মানসিক অবস্থান বুঝা এখন দুস্কর। তার আভাস অবশ্যই নিজেই দিয়েছেন দিলীপ দাস।


প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপির নেতা দিলীপ দাস তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন “বিজেপিতে বানর ছানাদের কোনও স্থান নাই। বিড়াল ছানা হয়ে থাকতে হবে। মা যেখানে রাখবে, সেটাই উপযুক্ত ও নিরাপদ স্থান। মা-ই তার সন্তানদের সব থেকে ভালো চেনে।”?


রাজনীতিকরা বলছেন, দিলীপ দাস তার এই পোস্টের মাধ্যমে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা স্পস্ট। অর্থাৎ দলের শীর্ষ নেতাদের কথা শুনেই কাজ করতে হবে। বানরের মতো লম্ফ জমফ করে লাভ নেই। থাকতে হবে বেড়ালের মতো। তাহলে কি দল এখন দিলীপ দাসকে গুরুত্ব দিচ্ছে না?এই অভিমান থেকেই কি  দিলীপ দাস সামাজিক তার মনের ক্ষোভ উগলে দিয়েছেন। প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলে।


দিলীপ দাস বিধায়ক থাকাকালীন নিগোসিয়েশন কারবারীদের হয়ে সাওয়াল করতেন। ঊষা বাজারের
নিগোসিয়েশন কারবারী,অস্ত্র কারবারী প্রত্যেকের সঙ্গেই দিলীপ দাসের সম্পর্ক কিন্তু মধুর।
প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাসের এই সমস্ত কার্য কলাপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।শুধু কি তাই, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরও সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন ও তার অনুগামীরা গোটা বড়জলা কেন্দ্রে কিভাবে সন্ত্রাস করেছে, তারা অবশ্যই অজানা নয় বিজেপি নেতৃত্বের।কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, ভোটের পর কোনো সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। তারপরও বড়জলা কেন্দ্রে বুলেট বৃষ্টি থেকে বোমাবাজি, তোলা আদায় সবই করেছে রাজু – রাকেশরা।


প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস ইদানিং কালে সংবাদ মাধ্যম নিয়েও নানান কথা বলেন। “আজকাল তিনি সংবাদ মাধ্যমকে রামায়ণ – মহাভারতের সঙ্গে তুলনা করেন। এবং বলেন, সংবাদ মাধ্যম এখন সমাজ সংস্কারের ভূমিকা পালন করতে পারে।
   নিজের ভান্ড ফাটিয়ে দিলেন দিলীপ দাস নিজেই। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে দিলীপ দাসের ভালো- খারাপ নানান কাজ কর্ম তুলে ধরে ছিলো। তাহলে কি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়া খবর গুলিকে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব রামায়ন – মহাভারতের মতোই গুরুত্ব দিয়ে দিলীপ দাসকে ধীরে ধীরে রাজনীতির সাইড ব্যঞ্চ – এ পাঠিয়ে দিচ্ছে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনই আভাস দিয়েছেন দিলীপ দাস নিজেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *