ডেস্ক রিপোর্টার, ৭জুলাই।
           “এক পার্টি ছেড়ে আর এক পার্টিতে   যোগদান রাজনৈতিক পরম্পরা। এটা দেহ বা মনের
পরিবর্তন হলেই ভালো।’দল ত্যাগ’  সুযোগের অন্বেষণ হলেই থেকেই যায় নানান প্রশ্ন!তাই জয়নিং আর ভোট ট্রান্সফর্মেশন কখনো চলে না সমান্তরাল রেখায়।বর্তমানে বেনো জলে বিজেপিতে  প্রবেশ করছে সাপ-গ্যারিলা।বিজেপিতে যোগদানকারীরা ভবিষ্যতে নিতে পারেন মেঘনাদের ভূমিকাও।বক্তা প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস।
বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত ভট্টাচার্য ও তৃণমূল নেতা আশীষ লাল সিং। তারা প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎ করেছিলেন। এরপর আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।তাদের হাতে বিজেপি পতাকা তুলে দিয়েছিলেন  খোদ বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক অমিত রক্ষিত ও মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। প্রশান্ত – আশীষ লালের যোগদান কি মেনে নিতে পারেন নি প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস?কারণ প্রশান্ত – আশীষের বিজেপিতে যোগদানের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত পোস্ট করে কিসের বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস।  বিজেপির নেতা দিলীপ দাস নাম না করে দলে যোগদানকারী প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য ও তৃণমূল নেতা আশীষ লাল সিংকে বকলমে সাপ-গ্যারিলা বলেই উল্লেখ করেছেন। এবং তারা ভবিষ্যতে  মেঘের আড়ালে যুদ্ধ করা মেঘনাদ হয়েও উঠার আশঙ্কা করেছেন দিলীপ। তাই বিজেপি নেতৃত্বকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা দিলীপ দাসের পোস্ট পর্যালোচনা করে একথা বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
 


দিলীপ দাস রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একটি পরিচিত নাম। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন। দিলীপ দাসের রাজনৈতিক পরিচয় কি? এটা অবশ্যই রাজ্যের মানুষ জানেন। রাজনীতিকরা বলছেন, দিলীপ দাস এক সময় ছিলেন কট্টর বাম সমর্থক। সরকারি ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন বাম মার্গিয় চিকিৎসকদের প্যানেলের অন্যতম মুখ। এক সময় বাম রাজনীতির প্রতি তিনি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেন।এবং দুর্নীতি মুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিতে।

।।দিলীপের ইঙ্গিত কি প্রশান্ত – আশীষের দিকে?।

কিন্তু দিলীপ সেখানে গিয়ে সুবিধা করতে পারেন নি। তিনি দেখেছেন আম আদমি পার্টি দিয়ে ত্রিপুরার রাজনীতির ময়দান থেকে আখের গোছানো যাবে না।তাই সুযোগ বুঝে ঝাঁপ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে।১৮- র নির্বাচনে দিলীপ দাসকে বিজেপি টিকিট দিয়েছিলো বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে।তিনি জয়ী হয়েছিলেন। বিধায়ক হওয়ার পর তার সংগঠনিক ব্যর্থতা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ দাসের সঙ্গে জড়িয়ে যায় নানান দুর্নীতির উপাখ্যানও। তার জামানায় বড়জলা কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল শহরের দুর্নীতির আতুর ঘর। এর বহু তথ্য প্রমাণ রয়েছে।


কংগ্রেস ও তৃণমূল ছেড়ে প্রশান্ত ভট্টাচার্য ও আশীষ লাল সিং বিজেপিতে যোগ দিতেই সরব হয়েছেন দল বদলু দিলীপ দাস। দিলীপ বুঝানোর চেষ্টা করছেন, বিজেপিতে লোকজন  যোগ দিচ্ছে সুযোগের অন্বেষনের জন্য। দিলীপের বক্তব্য ঠিক। রাজনৈতিক সুযোগের অন্বেষন করতেই নেতারা কালে কলে দল বদল করে থাকেন।ইতিহাসও  সাক্ষী। অতীতে দিলীপ দাসও তাই করেছিলেন। ১৮- তে সুযোগ পেয়ে বিনা সংগঠনের ফাঁকা ময়দানে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন একজন বিধায়ক। তারপরও সবটাই দুর্নীতি ইতিহাস। দাবী বড়জলা মণ্ডলের বিজেপির নেতাদের।তার প্রমাণ হাতে নাতে পাওয়া গিয়েছে ২৩- র নির্বাচনে।


দিলীপ দাস বিজেপি নেতৃত্বকে সাবধান করে বলেন, এখন বেনো জলে সাপ এবং গ্যারিলা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি নাকি অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেই একথা বলেছেন। তাই, জয়নিং পর্বে একটু ঝাড়াই বাছাই করা বাঞ্ছনীয় বলেও গেরুয়া বাড়ির নেতাদের বিধান দিয়েছেন। প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ দাস বলেন, যারা এখন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন,
ভবিষ্যতে তারা যেন মেঘের আড়ালে যুদ্ধ করা মেঘনাদ না হয়ে ওঠে।তার দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য বিজেপি নেতৃত্বকে উপদেশ দিয়েছেন। বিজেপির অন্দর মহলের খবর অনুযায়ী, এখন নাকি দিলীপ দাস নিজেই গেরুয়া শিবিরের মেঘনাদ হয়ে উঠেছেন। তাই তিনি আশঙ্কা করছেন বিজেপিতে  তার মতো আরো মেঘনাদের আত্ম প্রকাশ যেনো না ঘটে। তাহলে তো লড়াই শুরু হবে খোদ দিলীপের সঙ্গেই। আসলে ২৩- র নির্বাচনে পরাজয়ের পর দিলীপ দাসকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি।এই কারণেই নাকি তিনি ভুগছেন মানসিক অবসাদে।
বলছেন খোদ বিজেপি নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *