খোয়াই ডেস্ক,৩০এপ্রিল।।
বিজেপি’র জনজাতি মোর্চার ঘরোয়া সভায় দুস্কৃতিদের আক্রমণ।আহত সাতজন। বিজেপি’র অভিযোগ তিপ্রামথার দিকে। ঘটনা
চম্পাহাওর থানাধীন পূর্ব রাজনগর এডিসি ভিলেজের জাক ছড়ায়। শনিবারের এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা কেন্দ্র করে তপ্ত হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। বিজেপি’র পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে চাম্পাহাওর থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলো খগেশ দেববর্মা, জিতেন্দ্র দেববর্মা ও দয়ানন্দ দেববর্মা সহ আরো অনেকেই। এরা প্রত্যেকেই তিপ্রামথার নেতা।দাবি বিজেপি’র জনজাতি নেতৃত্বের।

রাজ্যের শাসক দল বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন
আশারাম বাড়ি মন্ডলের জনজাতি মোর্চার সভাপতি বীরমোহন দেববর্মাৱ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় ঘৱোয়া সভা। বীরমোহনের বাড়ি চম্পাহাওর থানাধীন পূর্ব রাজনগর এডিসি ভিলেজের জাক ছড়ায়। জনজাতি মোর্চার নেতৃত্বের অভিযোগ, বৈঠক চলাকালীন ২০-২৫জন দুস্কৃতি আচমকা ধারালো অস্ত্র বীরমোহনের বাড়িতে চড়াও হয়। ঘরোয়া সভায় উপস্থিত বিজেপি’র লোকজনের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে দুস্কৃতিরা। আক্রমণকারীরা প্রত্যেকেই মথার নেতা-কর্মী। মথার উগ্র কর্মী- সমর্থকরা ঘটনাস্থলে থাকা বিজেপি’র নেতা-কর্মীদের গাড়ি ও মোটর বাইক ভাঙচুর করে।বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাদের ১১টি বাইক সহ কয়েকটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করে মথার সমর্থকরা।

এই ঘটনায় মথার কর্মীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলো খগেশ দেববর্মা।, তার সঙ্গে জিতেন্দ্র দেববর্মা, দয়ানন্দ দেববর্মা সহ প্রায় ২০-২৫জন ছিলো। তাদের আক্রমণে বিজেপি’র সাতজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।আহতের তালিকা রয়েছেন বিজেপি’র প্রদেশ কমিটির রাজ্য সম্পাদিকা নমিতা দেববর্মাও। ঘটনা সংঘটিত করে মথার কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই পালিয়ে যায় অকুস্থল থেকে।

এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তপ্ত হয়ে উঠে আশারাম বাড়ি এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ছুটে আসে পুলিশ।বিজেপি’র পক্ষ থেকে চাম্পাহাওর থানায় দায়ের করা হয় মামলা।এদিন সন্ধ্যায় বিজেপি’র খোয়াই মন্ডলের জনজাতি মোর্চার পক্ষ সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এবং এই ঘটনার জন্য তিপ্রামথাকে দায়ী করেছে শাসক দলের নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *