ডেস্ক রিপোর্টার, ১৫আগস্ট।।
                   দক্ষিন জেলা বরাবর বাম দূর্গ।১৮ – র নির্বাচনে বাম দুর্গে ধাক্কা দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু নেতাদের ব্যর্থতার কারণে ২৩- র নির্বাচনে দক্ষিণে বিজেপি আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। মাত্র দুইটি আসন দখল করে। আরেকটি দখল করে বিজেপির শরিক দল আইপিএফটি। বাদবাকি গুলি চলে যায় বামেদের দখলে। বিজেপির এই হতশ্রী ফলাফলের পেছনে ছিল নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতি।


বিধানসভা নির্বাচনের পর নেতৃত্বের পর্যালোচনার বৈঠকে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। সম্প্রতি দক্ষিণের নেতাদের দুর্নীতির বুদ বুদ গন্ধ আরো বেরিয়ে এসেছে। নেতাদের কারণে কালিমালিপ্ত হচ্ছে বিজেপি। এই কারণেই দক্ষিণ জেলার ডজন খানেক নেতাকে ছেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।


শান্তির বাজার, জোলাই বাড়ি, সাব্রুম, বিলোনিয়া, ঋষ্যমুখ,রাজনগর বিধানসভার বহু নেতার নামে অভিযোগ জমা পড়েছে বিজেপির সদর দপ্তরে। বহু নেতার নামে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দূর্নীতিবাজ নেতাদের নামে বহু তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব নেতাদের বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির ঠিকুজি নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
             


তাতে গোটা দক্ষিণ জেলা থেকে ১২জন নেতার নামের তালিকা চূড়ান্ত হয়। তারা যে সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তার সব তথ্য রয়েছে রাজ্য দপ্তরে। তাই নেতাদের ছেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে মানিক জামানায় বিজেপিতে এটাই হবে  শুদ্ধিকরণের প্রথম ধাপ।
           


ইতি পূর্বে বিজেপি নেতৃত্ব দাবী করেছিলেন, শুদ্ধিকরণের হটস্পট হচ্ছে দক্ষিণ জেলা। তাই দক্ষিণ জেলার দুর্নীতিবাজ নেতাদের ছেটে ফেলে গোটা রাজ্যে বার্তা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। সামনেই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। উপ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই কেন্দ্র করে ক্ষোভ- বিক্ষোভের  আঁচ আসতে পারে দলে। তার আগেই দক্ষিণের নেতাদের ছাঁটাই করে কড়া বার্তা দিতে চাইছে কৃষ্ণনগরের গেরুয়া বাড়ি।


সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,  “রাজ্য থেকে মাফিয়া নাম মুছে ফেলে দেওয়া হবে।” এর পরই দক্ষিণ জেলার  সুব্রত সরকার নামে এক দুর্নীতিবাজ নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল করেন। প্রশ্ন তুলেন ডা: মানিক সাহার মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে।


এই নেতা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকেও টেনে আনেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিপ্লব কুমার দেব ও প্রতিমা ভৌমিকের মধ্যে চলতে থাকা ঠান্ডা লড়াইয়ের বিষয়টিও সামনে নিয়ে আসেন।


স্বাভাবিক ভাবেই ঋষ্যমুখ  মণ্ডলের যুবমোর্চার প্রাক্তন সভাপতি সুব্রত সরকারের এই কার্য্যকলাপে ক্ষুব্ধ দলীয় নেতৃত্ব। কে বা কারা কেন সুব্রত সরকারকে দিয়ে এই কাজ গুলি করিয়েছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সব কিছু মিলিয়ে দক্ষিণের দুর্নীতিবাজ নেতাদের চোখে মুখে এখন পদ হারানোর চিন্তা গ্রাস করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *