ডেস্ক রিপোর্টার,২৯অক্টোবর।।
                   বিজেপি ও কংগ্রেসের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ  বাগমা বিধানসভা কেন্দ্র। আক্রমন – পাল্টা আক্রমণে বিষিয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিবেশ। উভয় পক্ষই থানায় মামলা পাল্টা মামলা দায়ের করেছে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কে ভুগছে স্থানীয় লোকজন সহ ব্যবসায়ীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাদের এক কর্মীকে মারধর করে। এরপরই পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে কংগ্রেস কর্মীরা।বিজেপির পাল্টা অভিযোগ,কংগ্রেস দুষ্কৃতীরা পুলিশের সামনেই বিজেপি অফিসে আক্রমণ করে।তাদের কর্মীদের মারধর করে এবং গোটা অফিসে ভাঙচুর করে।
        স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কিছুদিন ধরেই বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রে বিরাজ করছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। সম্মুখ সমরে কংগ্রেস ও বিজেপি। বাগমা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গাতেই কংগ্রেস – বিজেপির মধ্যে ছোটো ছোটো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেই চলছে। মূলত এই কেন্দ্র বিজেপি দখলে। কিন্তু ইদানীং কালে এই কেন্দ্রে শক্তি বৃদ্ধি করছে কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি বুথের সভাপতি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বাগমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বর্তমানে রাজ্যের মন্ত্রিসভার সদস্য।কিন্তু হালে মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়ার জনপ্রিয়তা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই কেন্দ্রে  বিজেপির জন্য ধেয়ে আসছে অশনি সংকেত।
        ইতিমধ্যে কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়াতে বাগমা কেন্দ্রের রাজনৈতিক সমীকরণে জোর ধাক্কা লাগে। এক সময়ে বিজেপি এক তরফা আক্রমন শানাতো বিরোধীদের উপর।এখন পাল্টে গেছে পরিস্থিতি।বিরোধী কংগ্রেসও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। আর তাতেই সৃষ্টি হচ্ছে সংঘর্ষ।
            কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, শনিবার দুপুরে দলীয় অফিসে যাওয়ার সময় অমিত নামে তাদের এক কর্মীকে আক্রমণ করে বিজেপির লোকজন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কংগ্রেস কর্মী – সমর্থকরা একজোট হয়। এবং তারা সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আক্রমন করে স্থানীয় বিজেপি অফিসে। তারা গেরুয়া বাহিনীর অফিসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এরপরই পাল্টা আক্রমণে যায় বিজেপি। তারাও কংগ্রেস অফিসে ঢুকে ভাঙচুর করে। মারধর করে কংগ্রেস কার্যালয়ে থাকা কর্মীদের।অবাক করার বিষয় হলো,পুলিশের সামনেই দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অথচ পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের আটকানোর চেষ্টা করেনি। শুধুমাত্র হামলাকারী পিছু পিছু করেই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল পুলিশ কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *