
ডেস্ক রিপোর্টার,৫ মার্চ।।
এম এস কেলে। রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের প্রাক্তন এম ডি। কেলের জামানায় বিদ্যুৎ নিগমের অবস্থা কেমন ছিল? এই সম্পর্কে রাজ্যের মানুষ ওয়াকিবহাল। কেলে বিদ্যুৎ নিগমের আর্থিক কেলেঙ্কারি নায়ক। শেষ পর্যন্ত অর্থিক নয় ছয় করে ঠিকাদারদের হাতে কেলানি খেয়ে বিদ্যুৎ নিগমকে করেছিলো কলঙ্কিত।রীতিমতো কেলের জামানায় বিদ্যুৎ নিগমে রচিত হয়েছিল ঐতিহাসিক কলঙ্কিত অধ্যায়। বর্তমানে এই কলঙ্কের নায়ক এম এস কেলেকে পুনরায় রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের এমডির চেয়ারে বসানোর জন্য চেষ্টা চলছে।ইতিমধ্যে এমএস কেলে বিদ্যুৎ নিগমের এমডি পদে বসার জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছেন। এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ নিগম চূড়ান্ত করবে তাদের নতুন এমডির নাম।এম এস কেলের সঙ্গে এমডি’ র দৌঁড়ে রয়েছেন বিদ্যুৎ নিগমের বর্তমান ইনচার্জ এমডি দেবাশীষ সরকার। অপরজন বিশ্বজিৎ বসু। বিশ্বজিৎ বসু এসেছেন এনএসপিসি থেকে। তাই আগামী দিনে বিদ্যুৎ নিগমের মাথায় কে বসবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে এম এস কে এমডির চেয়ার থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ইনচার্জ এমডি দেবাশীষ সরকারের তত্ত্বাবধানে বিদ্যুৎ নিগম কাজকর্ম খুব সুন্দরভাবেই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি নিগমের কর্মীদের।

রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীদের কথায়, বর্তমান ইনচার্জ এমডি দেবাশীষ সরকার একজন স্বজ্জন ভদ্রলোক। সাধারন কর্মীদের সঙ্গে দেবাশীষ সরকারের সম্পর্ক খুব ভালো তিনি কর্মীদের কাছ থেকে সেরা কাজটুকু আদায় করে নিতে জানেন।দীর্ঘ ৩০ বছরের চাকরি জীবনী তার কোন কলঙ্কের দাগ নেই। বিদ্যুৎ নিগম পরিচালনার জন্য একজন এমডিকে ডিস্ট্রিবিউশন, ট্রান্সমিশন ও জেনারেশনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দরকার। এই তিনটি বিষয়েই দেবাশীষ সরকারের অভিজ্ঞতা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। ভারত সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিগম “সি” ক্যাটাগরি থেকে “বি” ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। দেশের ৫২টি বিদ্যুৎ সংস্থার মধ্যে আগে ত্রিপুরার স্থান ছিলো ৩৯ নম্বর।এখন ২২ নম্বরে এসে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যুৎ নিগমের এই সাফল্যের পেছনে মূল কান্ডারী দেবাশীষ সরকার। তার সময়েই বিদ্যুৎ নিগম অনেক বেশি আধুনিকিকরণ হয়েছে।এসেছে কাজের গতি। কর্মীরা কাজ করার জন্য ফিরে পেয়েছেন সুন্দর পরিবেশ। তাই এই রকম একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারকেই বিদ্যুৎ নিগমের এমডির চেয়ারে বসালে আক্ষরিক অর্থে নিগম ও রাজ্যের জন্য ভালো হবে বলেই মনে করছেন নিগমের কর্মীরা।

অন্যদিকে, বিদ্যুৎ নিগমের এমডি পদে ইন্টারভিউ দেওয়া এম এস কেলে যেন কোনভাবেই পুনরায় ফিরে না আসে এটাই চাইছেন নিগমের কর্মীরা কারণ এম এস কেলের সময়েই কলঙ্কিত হয়েছিল রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম হয়েছিল কোটি কোটি টাকা নয় ছয় বিষিয়ে উঠেছিল বিদ্যুৎ নিগমের পরিবেশ।কলঙ্কের জন্যই এমএস কেলেকে ছেটে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি।এখন কোনো এক অদৃশ্য শক্তির মদতে কেলে ফের নিগমের চেয়ারে বসতে চাইছেন।
এমডি পদে ইন্টারভিউ দেওয়া অপর প্রার্থী বিশ্বজিৎ বসু। তিনি নাকি রাজ্যের উত্তর জেলার শাসক দলের এক হেভিওয়েট বিধায়কের পকেটের লোক। তাকে বসানোর জন্যও প্রত্যক্ষ ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীদের দাবি, বিশ্বজিৎ বসুর ডিস্ট্রিবিউশন ও ট্রান্সমিশনে অভিজ্ঞতা অনেক কম। মূলত এই দুইটি সেক্টরের উপর ভিত্তি করেই মূলত দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুৎ নিগম।স্বাভাবিক ভাবে নিয়ম পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি কতটা কার্যকরী হবেন? প্রশ্ন তুলছেন নিগমের কর্মীরা।