ডেস্ক রিপোর্টার, ২০ফেব্রুয়ারি।।
                     বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের ঊষা বাজার অঞ্চলের মানুষ সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে নেমেছে মাফিয়া বিরোধী অভিযানে। স্থানীয় সমাজদ্রোহী তথা নিগোসিয়েশন কারবারী রাজু বর্মনকে এলাকা ছাড়া করতেই মাঠে নেমেছে সাধারণ মানুষ। তারা সামাজিক বিচারের জন্য দ্বারস্থ হবে শাসক দল বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের কাছে।
             ঊষা বাজার এলাকার লোকজনের কথায়, মঙ্গলবার দিল্লি থেকে রাজ্যে আসবেন রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে আসার পথেই আমজনতা রাজু বর্মনের বিরুদ্ধে নালিশ জানাবেন। তারা তথ্য প্রমাণ দিয়ে তুলে ধরবেন রাজু বর্মনের অপরাধের উপাখ্যান।কারণ রাজু বর্মন দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। রাজু হাতিয়ার করছে স্থানীয় ক্লাব ভারত রত্ন সংঘকে।স্বাভাবিক ভাবেই কালিমা লিপ্ত হচ্ছে ঊষা বাজার অঞ্চলের এই বনেদি ক্লাব।


বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাজু বর্মন এখন রাজ্যের অপরাধ জগতের “মিসিং লিঙ্ক” অমিত ঘোষকে নিয়ে এসেছে।কুখ্যাত অপরাধী অমিতের সঙ্গে তার দহরম মহরম। অমিতকে সামনে রেখে সিপি ডব্লিউডির নিগোসিয়েশন ব্যবসাকে আরোও সুঠাম করার পরিকল্পনা নিয়েছে। নিগো ব্যবসার কালো টাকায় ফুলে ফেঁপে উঠা রাজুর অপরাধ সংঘঠিত করতে হাতে কম্পন হয় না। মানুষ রাজু ও তার অনুগামীদের ভয়ে আতঙ্ক গ্রস্থ হয়ে উঠেছে। বিষিয়ে উঠেছে গোটা এলাকার পরিবেশ। খুন,অপহরন, তোলাবাজি, পিস্তল থেকে বুলেট নিক্ষেপ সমস্ত অভিযোগ রয়েছে রাজুর বিরুদ্ধে।


বাম জামানায় শহর দক্ষিণের তৎকালীন সমাজদ্রোহী শ্যামল দাস, নেতাজী চৌমুহনীর পূর্ত দপ্তরের নিগোসিয়েশনকারী টিংকু লোধদের এলাকা ছাড়া করেছিলো সাধারণ মানুষ।পেছনে অবশ্যই ছিলো রাজনীতির কালো হাত। রাজু বর্মনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।রাজু একজন দাগি সমাজদ্রোহী। এতে কোনো সন্দেহ নেই।তাকে উৎখাত করার সিদ্ধান্ত যথার্থ। কিন্তু এই ঘটনার অদৃশ্যে রয়েছে রাজনীতির ঘুটঘুটে কালো হাতও। তারাই এখন সিপিডব্লিউডি থেকে রাজু বর্মনকে সরিয়ে দিয়ে নতুন মুখ আনতে চাইছে।এই ব্লু  প্রিন্ট-র  মহড়া হিসাবেই মঙ্গলবার এমবিবি বিমান বন্দরে  বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য’ র হাতে তুলে দেওয়া হবে রাজু বধের ব্রহ্মাস্ত্র।বলছেন, ঊষা বাজার অঞ্চলের রাজনীতির প্রাজ্ঞ লোকজন।
           

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *