ডেস্ক রিপোর্টার,৬ডিসেম্বর।।
ত্রিপুরা পিপলস ফ্রন্টের ত্রিপুরা বনধে আংশিক সাড়া রাজ্য জুড়ে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়কে ত্রিপুরা পিপলস ফ্রন্টের(টিপিএফ) কর্মীরা দফায় দফায় পথ অবরোধ করে।তবে কোথাও তাদের আন্দোলন স্থায়ী হয়নি।পুলিশ পাতাল কন্যার কর্মীরা-সমর্থকদের গ্রেফতার করে আন্দোলন ভোতা করে দিয়েছে।
কোনাবনে সহকর্মীর গুলিতে নিহত দুই টিএসআর জওয়ানের খুনির উপযুক্ত শাস্তি।নিহত জওয়ানের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য, পরিবারের একজনকে চাকরি সহ আরো কয়েকটি দাবির ভিত্তিতে সোমবার ১২ঘন্টার ত্রিপুরা বনধ ডেকেছিল পাতাল কন্যার দল টিপিএফ। এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টিপিএফের লোকজন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে।কিন্তু কোথাও তাদের আন্দোলন স্থায়ী হয়নি।
বনধের দিন সকালে বনধের সমর্থনে তেলিয়ামুড়া তৃষা বাড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ও বড়মুড়াস্থিত সালকাকামীতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টিপিএফের কর্মী-সমর্থকরা। তাদের অবরোধ আন্দোলন কিছুক্ষণ চলার পর পুলিশ এসে টিপিএফের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।এবং জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করে।তেলিয়ামুড়া চিত্রাঙ্গদা কলাকেন্দ্র টাউন হল প্রাঙ্গণে নিয়ে আসে রাজনৈতিক বন্দিদের। দুপুর নাগাদ ফের টিপিএফের লোকজন আচমকা তেলিয়ামুড়া রেল স্টেশন এলাকায় পথ অবরোধ করে।পুলিশ খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে পাতাল কন্যার সমর্থকদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গোটা তেলিয়ামুড়া থেকে দফায় দফায় মোট ৯২ জন কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে।
টিপিএফের কর্মীরা শান্তির বাজারে ৮নম্বর জাতীয় সড়কের পতিছড়ির হঠাৎ বাজারেও পথ অবরোধ করে।দীর্ঘক্ষণ পাতাল কন্যার কর্মীরা পথ অবরোধ করার পর পুলিশ গিয়ে তাদের আন্দোলনস্থল থেকে তুলে দেয়। প্রতিটি জায়গাতে ধাপে ধাপে টিপিএফের পথ অবরোধ করার পর পালা করেই সংশ্লিষ্ট রুমগুলিতে বেশ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিলো যান চলাচল। যদিও পরবর্তী সময়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে আন্দোলনরত কর্মীদের রাস্তা থেকে পুলিশ সরিয়ে দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট রুটে স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। এডিসি এলাকার বিভিন্ন অংশে বনধ পালিত হয়। এই বনধের মাধ্যমে পাতাল কন্যা তার নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছিলেন। এবং একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মনকে।কিন্তু পাতাল কন্যার এই আশা পূরণ হন নি। কারণ পাহাড়ের খুব বেশি মানুষ যে পাতালের পাশে নেই তার প্রমান পাওয়া গিয়েছে এদিনের ডাকা বনধ থেকে।
