
ডেস্ক রিপোর্টার, ২৭জুলাই।।
বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিসড কল দিলেই হবে চাকরি।বলেছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন প্রভারী সুনীল দেওধর।১৮ – র পর ২৩-শেও ক্ষমতায়
এসেছে বিজেপি সরকার।কিন্তু মিসড কল দিয়ে
একটি চাকরি হয় নি।তবে সুনীল দেওধরের মান বাঁচিয়েছে স্বপ্না মজুমদারের রাজনগর বিধানসভা।
চাকরি হয়েছে নিশুত রাতে লটারির মাধ্যমে।
কিভাবে নিশুতি রাতে লটারি করে নেতারা চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা অভিরাম দাসকে? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন চাকরি প্রত্যাশী বঞ্চিত স্থানীয় মহিলা মোর্চার ইনচার্জ পার্বতী দে দাস।

রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন প্রভারী সুনীল দেওধর তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেন নি। কিন্তু পেরেছেন রাজনগরের বিধায়িকা স্বপ্ন মজুমদার। তিনি মানুষকে লটারির মাধ্যমে চাকরি প্রদান করেছেন। ছি: ছি:।

রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তর রাঙামুরা অঞ্চলটি ২৩নম্বর বুথের অন্তরভুক্ত। এই বুথে রয়েছে একটি ওয়াটার প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টে অপারেটর হিসেবে একজনকে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্থানীয় পঞ্চায়েত। নেতারা নির্বাচনের আগে স্থানীয় মহিলা মোর্চার ইনচার্জ পার্বতী দে দাসকে চাকরিটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলছেন পার্বতী দে দাস।

২৩- র নির্বাচনে দল ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় বুথ ও পঞ্চায়েত নেতারা চাকরি নিয়ে জালিয়াতির আশ্রয় নেন। রাজনগর কেন্দ্রের ২৩ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি অভিরাম দাস, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কর্মকার ও শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ বিলাস দে সিদ্ধান্ত নেন তারা টাকার বিনিময়ে চাকরিটি বিক্রি করে দেবেন। খরিদ্দার খোদ বুথ সভাপতি অভিরাম দাস। অভিরামের চাকরি নিশ্চিত করতে এবং মানুষের চোখে পট্টি পড়ানোর জন্য লটারির আয়োজন করে।নেতারা সিদ্ধান্ত নেন চাকরি হবে লটারির মাধ্যমে। গ্রাম্য ভাষায় “ডাব্বা লটারি”। লটারির আয়োজন করা হয় নিশুতি রাতে স্থানীয় নেতা সুমনের বাড়িতে।বলছেন, মহিলা মোর্চার নেত্রী পার্বতী।

বুথের ১৫ জন সদস্যকে টাকা দিয়ে কিনে নেন বুথ সভাপতি অভিরাম দাস। প্রত্যেকে তিনি দিয়েছেন ১৫ হাজার টাকা করে। এরা টাকা পেয়ে লটারিতে বাজি রাখে বুথ সভাপতি অভিরাম দাসের দিকে। অভিরাম অর্থনৈতিক ভাবে যথেষ্ট সাবলীল।তারপরও কেন পার্বতীকে বঞ্চিত করে অভিরাম দাসকে চাকরি দেওয়া হলো? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই স্থানীয় বিধায়িকা স্বপ্না মজুমদারের কাছে।

রাজনগর কেন্দ্রের ২৩ নম্বর বুথের মহিলা মোর্চার ইনচার্জ পার্বতী দে দাস প্রচন্ড ক্ষোভ উগলে দিয়ে বলেন, বুথের সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় কর্মকার, বুথ সভাপতি অভিরাম দাস,শক্তি কেন্দ্রের ইনচার্জ ও পঞ্চায়েতের সিংহ ভাগ লোকজন ছিলো বামপন্থী। গত ২৫ বছর ধরে তারা লুটে পুটে খেয়েছে।এখন তারাই ছলম বদল করে বিজেপি হয়েছে। এবং লুটের রাজত্ব শুরু করেছে।

সম্পূর্ণ অনৈতিক ভাবে অভিনব পন্থায় বুথ সভাপতি অভিরাম দাস অপারেটরের চাকরি বাগিয়ে নিয়েছেন। লটারির মাধ্যমে চাকরি রাজ্যের ইতিহাসে নজির বিহীন। রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে এতো সীমাহীন দুর্নীতি চললেও চুপ কেন বিধায়িকা স্বপ্না মজুমদার। তিনিও কি পাচ্ছেন টু – পাইস?নয়তো বিধায়িকা হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই কোন জাদু মন্ত্র বলে তার কুড়ের ঘর এখন উচু ইমারত হয়ে মাথা তুলছে। প্রশ্ন জনমনে।