ডেস্ক রিপোর্টার,৩১জুলাই।।
ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে এডিসির ভিলেজ কমিটির নির্বাচন।
অন্যদিকে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল বিজেপি চাইছে এই মুহূর্তে ভিলেজ ভোট এড়ানোর জন্য। তারা চাইছে বিধানসভা ভোটের সঙ্গেই অনুষ্ঠিত হবে ভিলেজ কমিটির নির্বাচন। প্রয়োজনে বিধানসভা নির্বাচনে এগিয়ে নিয়ে আসতে চাইছে শাসক শিবির।
রাজনৈতিক বিশারদদের বক্তব্য, নভেম্বর মাসের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এতটা সহজ কাজ হবে না। তাই এই সময়ের মধ্যে পাহাড়ে হবে ভিলেজ কমিটির নির্বাচন। বিধানসভা ভোটের প্রাকলগ্নে ভিলেজ ভোট শাসক বিজেপি এবং তিপ্রা মাথার কাছে রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিলেজ ভোটেই পাহাড়ে ২৩-র আগাম ক্যানভাস ফুটে উঠবে।
এডিসির ভিলেজ কমিটির নির্বাচনে বিজেপি এবং তিপ্রামথা উভয় শিবির আক্রমাত্বক ভঙ্গিতেই শুরু করবে ভোটের লড়াই। এই নির্বাচনে আতস কাঁচ দিয়ে দেখা হবে বামেদের পারফরমেন্সও। অর্থাৎ ভিলেজ কমিটির নির্বাচন রাজ্যের তিনটি রাজনৈতিক দলকেই ২৩- র দিশা দেখাবে। এডিসি ভিলেজ ভোট করার জন্য তিপ্রামথার পক্ষ থেকেই জনস্বার্থে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতেই আদালত রায় ঘোষণা করে। তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন বারবার দাবি করছেন, ভিলেজ ভোট ভোটে বিজেপি, সিপিএম একটি আসন ও পাবে না।
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, ভিলেজ ভোটে প্রদ্যুৎ কিশোর কিছুই করতে পারবেন না। তাঁর দলকে নির্বাচনে জনজাতিরা যে প্রত্যাশা নিয়ে ভোটে জিতিয়েছিল, সেই প্রত্যাশা এখন পালন করতে পারে নি । প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামাথা জনজাতিরা এখন ঝুঁকতে শুরু করেছে বিজেপির দিকে। তারা বুঝতে পেরেছে প্রদ্যুৎ কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড ইসু বাস্তব অর্থে ফাঁকা আওয়াজ। ত্রিপুরাতে কখনোই গ্রেটার তিপ্রা গঠিত হবে না। কারণ রাজ্যের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী কখনো পৃথক ল্যান্ড সম্ভব নয়। তা জানা সত্ত্বেও প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন জনজাতিদের তার দলে ধরে রাখার জন্য ইতিমধ্যেই প্রতারণা শুরু করেছেন। এবং এই মুহূর্তে প্রদ্যুৎ কিশোরের জনপ্রিয়তাও কমতে শুরু করেছে জনজাতি মধ্যেও।
পাহাড়ের অতীতের দানবীয় সংগঠন সিপিএম নেতৃত্বের দাবি ২৩ র ভোটে ফের পাহাড়ে চমক দেবে বামপন্থীরা। জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ সঙ্গে প্রতারণা করেছে বিজেপি এবং তিপ্রামথা। পাহাড়ের জনজাতিরা বাম জামানাতেই খুব ভালো ছিল। জনজাতিরা কখনো ধর্মের বা জাত পাতের সুড়সুড়ি পছন্দ করে না। তারা বুঝতে পেরেছে বিজেপি এবং তিপ্রামথা উভয় রাজনৈতিক দলই জনজাতিদের উন্নয়নে জন্য অভিশপ্ত । এই কারণেই পাহাড়ের মানুষ এখন পছন্দ করছে বামেদের। তাই বাম নেতৃত্বের দাবি, এডিসির ভিলেজ ভোটে বামেদের ফলাফল হবে প্রশ্নাতীত। সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দল নেতা মানিক সরকার তিপ্রামথা ও বিজেপিকে একই মঞ্চে নিয়ে আসেন। মানিক সরকারের দাবি, বিজেপি ও মথার মধ্যে গোপন সমঝোতা রয়েছে।
