***সুবল ভৌমিক। রাজ্যের অবাম রাজনীতির “মুখ”। তিনি বর্তমানে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বললেন তিনি। গোটা রাজ্যে নাকি চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের লেহের।আসন্ন উপভোটেও চার আসনেই জয় পাবে তৃণমূল।”জনতার মশাল”র সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেছে সুবল ভৌমিক।***

প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুবল ভৌমিক।

১.প্রশ্ন: ১৮-তে ছিলো পরিবর্তনের ২৫বছরের চাহিদা। এবার মাত্র পাঁচ বছরের চাহিদা। তাহলে
কেন ত্রিপুরায় পরিবর্তন আশা করছেন?

উঃ দীর্ঘ ২৫বছরের বাম শাসনে রাজ্যের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলো।সিপিআইএমের সন্ত্রাস ও দলতন্ত্র কায়েম করেছিলো গোটা রাজ্যে। পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিলো আমজনতার। তখন মানুষ পরিত্রানের জন্য বিকল্পের সন্ধানে ছিলো।তখনই সামনে আসে বিজেপি।এবং সর্ব স্তরের মানুষ বামেদের উৎখাতের জন্য বিজেপি’র দিকে ঝুঁকে যায়।এবং পরিবর্তন করে। ১৮-তে রাজ্যের মানুষ বিজেপি’র আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভোট দেয় নি। মানুষ ভোট দিয়েছে বামেদের রুখতে।
বিজেপি ক্ষমতায় এসে রাজ্যের অর্থিনীতির মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে।দুর্বল হয়ে পড়েছে মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার।মানুষের প্রত্যাশার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি সরকার। সরকারের রন্ধে রন্ধে দুর্নীতি।রাজ্য সরকারের কোনো প্রকল্প নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। এক কথায় দুর্নীতির মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা।সাড়ে চার বছরে সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ এই সরকার। এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে বিজেপি। এই কারণেই ২৩-র ভোটে রাজ্যের মানুষ আবার পরিবর্তন চাইছে।

২.প্রশ্নঃ পরিবর্তনে তৃণমূল কি ভূমিকা পালন করবে? এবং মানুষ তৃণমূলকে কেন ভোট দেবে? ভোটে তৃণমূলের হাতিয়ার কি?

উঃ তৃণমূল কংগ্রেস হবে পরিবর্তনের সর্ববৃহৎ শক্তি। তৃণমূলকে ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব হবে না।তৃণমূল সামনে নিয়ে আসবে “বঙ্গ মডেল”। বঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রকল্পগুলি বোঝানো হবে মানুষকে।স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী’র মতো প্রকল্প গুলি সর্বস্তরে প্রশংসীত।তৃণমূল ক্ষমতায় এলে রাজ্যে এই সমস্ত প্রকল্প চালু করা হবে। গোটা বঙ্গ জুড়ে চলছে উন্নয়নের ধারা। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে মানুষ দেখতে পারবে এক “নতুন” ত্রিপুরা। সব দল প্রতিশ্রুতির রাজনীতি করে। তৃণমূল তা করে না।ক্ষমতায় এসে করে দেখায়।

৩.প্রশ্নঃ উপ ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্যু কি?

উঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে পরিবর্তন করা হলো? এই জবাব বিজেপিকে দিতে হবে। এবং “বঙ্গ মডেল”।

৪.প্রশ্নঃ উপভোটে চার কেন্দ্রের মধ্যে কয়টাতে নিশ্চিত জয় পাবে তৃণমূল?

উঃ সবগুলিতে। কারণ মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে না।জনতা বীতশ্রদ্ধ। সিপিআইএমকে আজও মানুষ বিশ্বাস করতে পারছে।জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত পশ্চিম বাংলা।আর কংগ্রেস তো নেই।তৃণমূল ব্যতীত মানুষের বিকল্প কিছু নেই।রাজ্যের মানুষ সবকয়টি রাজনৈতিক দলকে দেখেছে।তারা শাসনে তৃণমূলকে দেখেনি।দেখতে চাইছে।গোটা রাজ্যে লেহের চলছে তৃনমূল কংগ্রেসের।

৫.প্রশ্নঃ পুর ভোটের সন্ত্রাস উপেক্ষা করে তৃণমূলকে যে মেজাজে দেখা গিয়েছিলো, তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছিল? সেটা মানেন কি?

উঃ না, তেমন কিছু না। তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলন চলছে ধারাবাহিক ভাবে। আছে ফুরফুরে মেজাজে। তৃণমূল শুধু বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।এবং বিজেপি এখন তৃণমূলকে নিয়ে বেশি আতঙ্কে আছে।

রাজপথে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল।

৬.প্রশ্নঃ পুর ভোটে দ্বিতীয় ছিল তৃণমুল? উপভোটের কত নম্বর স্থানে।

উঃ উপভোটে প্রথম স্থানে থাকবে তৃণমূল।

৭.প্রশ্নঃ পাহাড়ে তিপ্রামথার দাপট চলছে?পাহাড়ে তৃণমূল কতটা শক্তিশালী?
উঃ পাহাড়েও তৃণমূলের স্রোত বইছে। চলছে সংগঠন মজবুতের কাছ।প্রচুর জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলের পাশে। তিপ্রামথা মাত্র দুই মাসের দল এডিসি দখল করেছে। তৃণমূলের হাতে আরো অনেক সময় রয়েছে।দেখুন সামনে কি হয়।

৮.প্রশ্নঃ আপনাদের জনজাতি মুখ কে?

উঃ আপাতত কেউ মুখ নেই। প্রত্যেকে একটি সংগঠন হিসাবে কাজ করছে। বিভিন্ন স্তরে শতধিক নেতা কাজ করছে এক জোটে। উপযুক্ত সময়েই “মুখ” সামনে আনা হবে।

৯.প্রশ্নঃ ২৩-র বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস কি কোনো দলের সঙ্গে জোট করবে?

উঃ তৃণমূল ক্ষমতা দখল করবে ২৩-এ। তাই ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের জন্য আলোচনার রাস্তা উন্মুক্ত রেখেছে তৃণমূল।

১০.প্রশ্নঃ আশীষ দাসকে কেন ধরে রাখতে পারেনি তৃণমূল?

উঃ আশীষ দাস কোনোদিনই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচিতে যোগ দেননি। নিজে পৃথকভাবে আন্দোলন করেছেন।কখনো মাথা মুন্ডন,আবার কখনো সৌরভ গাঙ্গুলীর শার্ট খুলে ফেলেন। স্থিরতা নেই। তিন বছর ধরে বিধায়ক হয়ে নিজের এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এই রকম নেতা সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না।

১১.প্রশ্নঃ তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য আশিষ লাল সিং মাথাতে যোগ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছ, কি বলবেন।

উঃ আমার কাছে এরকম খবর নেই।তিনি ত্রিপুরাতে থাকেন না। আমার সঙ্গেও নেই যোগাযোগ।

১২.প্রশ্নঃ আশীষ লাল সিং ও আশীষ দাস কোর কমিটির সদস্য।তারা দলে না থাকতে কোনো প্রভাব পড়ছে কিনা?

উঃ না, ব্যক্তির ঊর্ধ্বে দল।

পথসভায় বক্তব্য রাখছেন সুবল ভৌমিক।

১৩.প্রশ্নঃ পুর ভোটের পর কতজন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন? তারা কোন দল থেকে এসেছেন?

উঃ সাড়ে পাঁচ হাজার।অধিকাংশ এসেছে শাসক দল বিজেপি থেকে।

১৪. প্রশ্নঃ সিপিএম বলছে তারা ২৩-এ ক্ষমতায় ফিরছে? রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময় লড়ছেন বামেদের বিরুদ্ধে? কি বলবেন?

উঃ বামেদের ফেরার রাস্তা বন্ধ।মানুষ তৃণমূলকে বিকল্প হিসেবে পেয়ে গেছে।বামেরা ক্ষমতা থেকে ছিটকে গেলে আর ফিরে আসতে পারেনি।রাজ্যেও একই অবস্থা হবে।মানুষ বামেদের ভোটেই দেবে না। মাত্র তিন মাসে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ২৩শতাংশ ভোট। এবার ভাবুন সামনেই দিনে কি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের গতি।

১৫.প্রশ্ন: আপনি দীর্ঘ দিন কংগ্রেস করেছেন। রাজ্যে কি কংগ্রেসের কোনো ভবিষ্যত আছে?উপভোটে সুদীপ-আশীষ কি ফ্যাক্টর হবে?

উ: কংগ্রেস এতো বছর ধরে জয়ের আগেই হেরে যায়। মানুষকে খুব সুন্দর ভাবে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখার।কিন্তু কংগ্রেস পুরো শক্তিকে ব্যবহার করেও ১০টির বেশি আসন জিততে পারেনি। পুর ভোটে মাত্র ১শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস।এখন একটা স্পিন্টার গ্রুপ কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ফের মানুষকে স্বপ্ন দেখাছে। এটাও সম্পুর্ন অবাস্তব। মানুষ কংগ্রেসকে ত্যাগ করে টিএমসিকে গ্রহণ করছে।

১৬.প্রশ্নঃ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এক সময় আপনার সতীর্থ ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন।

উঃ কি আর বলবো, তিনি গরিব মানুষের অর্থ লুন্ঠন করেছেন।শেষ করে দিয়েছেন রাজ্যটাকে। তাঁকে কেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পরিবর্তন করা হয়েছে, তার স্পষ্টীকরণ দিতে পারেন নি। রাজ্যের মানুষকে বিপ্লবের এর জবাব দিতেই হবে।

১৭.প্রশ্ন: তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোরকে কেউ কেউ ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে থাকে। প্রদ্যুত সম্পর্কের আপনার মূল্যায়ন কি?

উঃতিনি ত্রিপুরার রাজা। আমার সঙ্গে প্রদ্যুতের ব্যক্তিগত কিছু নেই। তবে আজও পাহাড়ের মানুষ ছড়ার জল খেয়ে বেঁচে বর্তে আছে।তা তো হওয়ার কথা ছিলো না।

১৮.প্রশ্ন: গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড কি সমর্থন করে তৃণমূল?

উঃ এটা তিপ্রামথার দাবি,তৃণমূল কংগ্রেসের নয়।অন্য রাজনৈতিক দলের দাবি নিয়ে কিছু বলবো না।

তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান পর্ব।

১৯.প্রশ্ন: যদি ক্ষমতার মানদণ্ড প্রদ্যুতের কাছে আসে তাহলে বাঙালিরা কি ভালো থাকবে?

উঃ সময়েই দেখা যাবে।তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে না

২০.প্রশ্ন: তৃণমূল কি এনআরসি এবং ক্যাগ সমর্থন করেন।

উঃ সমর্থন করে না, তৃণমূল সবাইকে নিয়ে থাকতে চায়। বিভাজনের রাজনীতি করে বিজেপি।

২১.প্রশ্ন: বিজেপি এবং কংগ্রেসের প্রচুর নেতা রয়েছেন,যারা একসময় তৃনমূল করেছিলো।তারা বলছে ত্রিপুরায় তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নেই? কি বলবেন?

উঃ পুর ও নগর ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের শতাংশের হিসেবেই ইঙ্গিত করছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ।

২২.প্রশ্ন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে এসে বলেছিলেন এবারের তৃনমূল ১৯৯৮-র তৃনমূল নয়। ১৯৯৮-র সঙ্গে পার্থ্যক কোথায়?

উঃ অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্টি,সংগঠন ও সরকারকে সামলাতেন। দলে প্রয়োজন ছিল একজন দক্ষ সংগঠকের। এই মুহূর্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দক্ষ সংগঠকের সব গুণাবলী রয়েছে। রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদব,তেজস্বী যাদব থেকে বয়সে ছোট।কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে জনপ্রিয়তার নিরিখে কেউ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারে কাছে নেই।তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনকে শক্ত হাতে সাজিয়ে তুলছেন।

২৩. প্রশ্ন: বাম এবং কংগ্রেস বলছে তৃণমূল বিজেপি’র বি টিম তৃণমূল? কি বলবেন।

উঃ গোটা দেশে কংগ্রেস ভেঙে পড়ছে। কংগ্রেস যেখানে ব্যর্থ সেখান থেকে শুরু করছে তৃণমূল। তৃণমূল প্রবেশ করেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে।কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে নয়। বিজেপি’র বিরুদ্ধে দেশে প্রধান মুখই হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপি তো এক প্রকার জোর করে বাংলা নেওয়া চেষ্টা করেছিলো। কোথায় পেরেছে? মানুষ জবাব দিয়েছে।আর বাংলাতে এখন বিজেপি’র অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে উঠছে।

২৪. কর্মচারীদের ডিএ প্রদান ইস্যুতে বাংলার মমতার সরকারকে নির্লজ্জ্ব বলেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।তার বক্তব্য কর্মচারীদের ডিএ না মমতার সরকার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে মমতার সরকার। এই ইস্যুতে বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

উঃ আমার জানা নেই।তবে কর্মচারীদের ডিএ প্রদানের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা থেকে ১০গুন বেশি পাচ্ছে বাংলার কর্মচারীরা। জিতেন্দ্র বাবু রাজনীতি করার জন্য বলছেন। ভয় পাচ্ছেন তৃণমূলকে। তবে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখতে পারেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।কিন্তু সফল হবেন না।

বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের জনসমর্থন।

২৫.রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা সম্পর্কে আপনার মুল্যায়ন?

উঃ মানিক সাহাকে সময় দেওয়া উচিত। তিনি শপথ গ্রহণ করে বলেছিলেন আইন শৃঙ্খলাকে আঁটোসাঁটো করতে হবে। এখন পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণকারীদের গ্রেফতার, থানায় হামলাকারী ও সংবাদ পত্র ভবনে আক্রমণকারীদের যদি গ্রেফতার করা হয়,তাহলে বুঝা যাবে তিনি কাজ করছেন। মানিকবাবুকে সেটা প্রমান করতে হবে।

২৬. চিত্তরঞ্জন রোডে পার্টি অফিস কবে উদ্বোধন হবে।

উঃ তৃণমূল কংগ্রেসের অফিস শহরের বিভিন্ন জায়গাতে হবে। চলছে কাজ। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শেষ হলে পার্টি অফিস উদ্বোধন হবে।

২৭. আপনি ২৩-এ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাকে চান?

উঃ আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে নিঃসন্দেহে। তখন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী।

২৮. ১৮- ভোটের আগে বড়জলা ও অমরপুরে উপভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উপভোটে বিজেপি-তৃনমূলের ভোট কাটাকাটিতে দুইটি আসনে জয় পেয়েছিলো বামেরা। এবার কি তৃণমূল-কংগ্রেস ও বামেদের ভোট কাটাকাটিতে বিজেপি লাভবান হবে?

উঃ বামেরা উপভোটে জয়ী হয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু ১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের অবস্থা কি হয়েছিলো? তৃণমূল কংগ্রেস সুষ্ঠ ভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে দ্বারস্থ হয়েছিলো। ভোট সুষ্ঠ হলে পাল্টে যাবে পরিস্থিতি। হবে ভোটের নতুন সমীকরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *